ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসককেও ম্যানেজ করছিলেন ধূলা থানার ইনচার্জ
গুয়াহাটি, ১ নভেম্বর : দরিদ্র পরিচারিকা কিশোরী হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে ধামা চাপা দেওয়ার অভিযোগে গ্ৰেফতার হলেন ধূলা থানার ভারপ্ৰাপ্ত আধিকারিক উৎপল বরা৷ দিনভর জেরার পর সিআইডি গ্ৰেপ্তার করে ওসি উৎপল বরাকে৷
তবে শুধু উৎপল বরাই নয়, তদন্তর আওতায় আসবেন ঘটনায় জড়িত চিকিৎসক-সহ আরও বেশ কজন৷
অভিযোগ, বিশাল পরিমাণ উৎকোচের বিনিময়ে ঘটনার মূল অভিযুক্ত পার পেয়ে গিয়েছিল৷
সিআইডি তদন্তে প্রকাশ্যে আসছে, দরং জেলার ধূলায় এসএসবি জওয়ান কৃষ্ণকমল বরুয়ার ঘরে পরিচারিকা কিশোরীর রহস্যজনক হত্যাকাণ্ডকে ধামাচাপা দিয়ে ওসি উৎপল বরাই গোটা ঘটনাকে আত্মহত্যার রূপ দিয়েছিলেন।
ধূলা থানায় দায়ের হওয়া এই ১১৪/২২ নম্বর মামলার তদন্ত করে বড়মাপের উৎকোচের বিনিময়ে উৎপল বরা কাৰ্যবাহী দণ্ডাধীশের উপস্থিতিতে মৃতদেহ উদ্ধার করেছিলেন।
পরে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসককেও ম্যানেজ করেছিলেন ওসি উৎপল বরা৷ কিন্তু এই ঘটনার পর রাজ্যের বিভিন্ন প্ৰান্তে ন্যায় চেয়ে ব্যাপক প্ৰতিবাদ হয় ৷
এর পরই আরতি তুরির ওদালগুড়িস্থিত বাসগৃহে উপস্থিত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্ৰী ড০ হিমন্তবিশ্ব শৰ্মা৷
মুখ্যমন্ত্ৰী গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় তীব্ৰ অসন্তুষ্টি প্ৰকাশ করে তাৎক্ষণিকভাবে সাসপেন্ড করেছিলেন এসপিকে৷
সমান্তরালভাবে মুখ্যমন্ত্ৰীর নিৰ্দেশে সিআইডিতে ২০/২০২২ নম্বরে আরেকটি মামলা দায়ের হয়। তিনজন আধিকারিক নিয়ে গঠন করা হয় স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম।
এই টিমের সদস্যরা হলেন ডিআইজি দেবরাজ উপাধ্যায়, এসএসপি ইন্দ্ৰাণী বরুয়া এবং তদন্তকারী আধিকারিক আরিফুল হক৷
সিট-এর তদন্তে প্রকাশ্যে আসে ভয়ংকর সি তথ্য৷ জানা যায় মৃতদেহ উদ্ধারের সময় কোনোধরনের ভিডিওগ্ৰাফি করা হয়নি। নেওয়া হয়নি ফিংগারপ্ৰিন্ট। ময়নাতদন্তেও অনিয়ম ধরা পড়ে। সিট-এর তদন্তে স্পষ্ট হয়ে যায়, কিশোরীটিকে হত্যা করেই আত্মহননের রূপ দেওয়া হয়েছিল৷
আর তখনই ঘটনায় ওসি উৎপল বরার ভূমিকা স্পষ্ট হয়ে যায়। সোমবার তাকে তলব করা হয় সিআইডির মুখ্য কাৰ্যালয়ে। দিনভর জেরা চালিয়ে গ্ৰেফতার করা হয় তাকে।
অন্যদিকে, মূল অভিযুক্ত কৃষ্ণকমল বরুয়ার বিরুদ্ধে মামলায় শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইন পকসোর ধারা সন্নিবিষ্ট করা হয়েছে ৷ আর এঘটনায় জড়িত আরও অনেকেই সিআইডির জালে পড়বেন বলে জানা গেছে।