নয়াদিল্লী, ২ নভেম্বর : অনুব্রত কন্যাকে শেষ পর্যন্ত দিল্লির ইডি দফতরে হাজিরা দিতে হল। অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে এ দিন দ্বিতীয়বার তলব করেছে ইডি। মুখে কালো মাস্ক লাগিয়ে দিল্লির ইডির দফতরে হাজির হন অনুব্রত কন্যা।
তবে তাঁর আগে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে দিল্লিতে ইডির দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। এতে ধারনা করা হচ্ছে দুজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করবে। দিল্লিতে পশ্চিমবঙ্গের তদন্তকারী ইডি আধিকারীকরা উপস্থিত রয়েছেন।
অনুব্রত মণ্ডল মেয়ে সুকন্যা ইডিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেই প্রতিশ্রুতি মতই তিনি ইডির দফতরে হাজিরা দিইয়েছেন। নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই দিল্লিতে ইডির দফতরে পৌঁছে যান সুকন্যা।
মুখে কালো মাস্ক পরে দিল্লিতে ইডির দফতরে পৌঁছনোর পর বাইরে তাঁকে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। নিয়ম মত স্লিপ নিয়ে তবেই তিনি ভেতরে ঢোকেন। নথি নিয়ে অনুব্রত কন্যাকে হাজিরা দিতে বলা হলেও খালি হাতেই তাঁকে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে দেখা গিয়েছে।
সুকন্যা মণ্ডলের হাজিরার আগেই দিল্লির ইডি অফিসে হাজির করা হয় সায়গল হোসেনকে। পিতা অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে কন্যা সুকন্যাকে।
বোলপুর এবং বীরভূমে বিপুল সম্পত্তির রয়েছে সায়গল হোসেনের, তাই তাঁর টাকার উৎস কোথায় তা জানতেই ইডি আগেই তাকে হেফাজতে নিয়েছে।
সুকন্যা মণ্ডলকে জেরা করার জন্য মমলায় তদন্তকারী ইডি অফিসাররা কলকাতা থেকে দিল্লিতে আগেই পৌঁছে গিয়েছেন।
তাতে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে ইডি আধিকারিকরা বেশ কোমর বেঁধেই সুকন্যাকে জেরা করতে নেমেছেন। গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে নেমে সুকন্যার বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন ইডির আধিকারীকরা।
পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক সুকন্যার এই বিপুল সম্পত্তির উৎস্য কোথায় তা জানতে চায় ইডি। তাঁদের অনুমান অনুব্রত মণ্ডলের গরুপাচারের টাকাতেই সুকন্যার নামে এই বিপুল সম্পত্তি তৈরি করা হয়েছে। এদিকে গরুপাচার কাণ্ডে আজই অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী রাজীব সিট এবং এক প্রমোটারকে তলব করেছে সিবিআই।