গৃহ বিদ্যুৎহীন, এসেছে মোটা অংকের বিল ও নোটিশ
ধলাই, ৩ নভেম্বর : দীর্ঘদিন ধরে গৃহে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার পরও ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে মোটা অংকের বিল। সঙ্গে ১২ নভেম্বর লোক আদালতে উপস্থিত থাকতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে নোটিশ।
বিদ্যুৎ বিভাগের এমন ভুতুড়ে কাণ্ডে হতবাক সচেতন মহল।
এমনই আশ্চর্যজনক ঘটনার শিকার হয়েছেন কছাড় জেলার বিদ্যুৎ বিভাগের সোনাই সাব ডিভিশনের আওতাধীন ধলাই বিধানসভা সমষ্টির জামালপুর গাঁও পঞ্চায়েত এলাকার জামালপুর গ্রামের বিকলাঙ্গ যুবক তৈবুর রহমান বড়ভুইয়া।
একসাথে হাতে বিদ্যুৎ বিভাগের মোটা অংকের বিল ও লোক আদালতের নোটিশ আসতেই বিকলাঙ্গ ব্যক্তিটি হয়ে যায় হতভম্ব।
বিল ও নোটিশের কফি সঙ্গে নিয়ে ছুটছে এদিক ওদিক এর কাছে ওর কাছে।
বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করতে গণ আওয়াজ প্রতিনিধি বিকলাঙ্গ ব্যক্তিটির খোঁজে বেরোলে পাওয়া যায় বিকলাঙ্গ তৈবুর ভিক্ষা করছেন বাজারে।
সে দৃশ্য বন্দী হয় প্রতিবেদকের ক্যামেরায়।
বাজারে ভিক্ষারত অবস্থায় কথা হয় তার সাথে। সেখান থেকে তাকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিবেদক পৌঁছান জামালপুর স্থিত বিকলাঙ্গ ব্যক্তির বাড়িতে।
বাড়িতে পৌঁছে দেখা যায় জরাজীর্ণ কুঁড়েঘরে বসবাস করেন তৈবুর। অবশ্য তার নামে অনুমোদিত হয়েছে একটি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার গৃহ।
গৃহটি যদিও এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। দেখা যায় ঘরে নেই কোন বিদ্যুৎ সংযোগ। কথা বলতে গিয়ে জানা যায়, তার ঘরে বিপিএল বিদ্যুতের সংযোগ ছিল।
২০২০ সালে লকডাউন চলাকালীন সময়ে ধরিয়ে দেওয়া হয় পাঁচ হাজার টাকার বিল।
সে সময়ে ভিক্ষা করে ৫০০০ টাকার বিল পরিশোধ করে গৃহে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের আবেদন করলে বিভাগীয় কর্মী পরিচয়ে তার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে গৃহের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের পাশাপাশি তার ঘরে লাগানো বিদ্যুতের মিটার খুলে নিয়ে আসা হয়।
এবার ২ বছর পর তার হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় ৩৯৫৮০ টাকার একখানা বিদ্যুৎ বিল। আসে লোক আদালতের নোটিশও।
বিলের পরিমাণ ও লোক আদালতের নোটিশ পেয়ে বিকলাঙ্গ তৈবুরের পায়ের নিচের মাটি সরে যায়, লোকটি হয়ে পড়ে হতভম্ব।
আশ্চর্যজনক বিষয় হল, যেখানে দুই বছর থেকে রয়েছে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন, সেখানে কিভাবে বিল প্রদান করা হলো।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের দিকে আঙ্গুল তুলছেন স্থানীয় জনগণ। কোথাও কোন গন্ডগুল রয়েছে, না কি কোনো ষড়যন্ত্র, সরজমিন তদন্তক্রমে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান স্থানীয় মানুষ।