জুলি দাস
করিমগঞ্জ, ৪ নভেম্বর : সারা অসম মধ্যবঙ্গ বিদ্যালয় শিক্ষক সংস্থার প্রদেশ কার্যকরী কমিটির সভা এবং শিক্ষক সম্মেলন ঘিরে জোর প্রস্তুতি চলছে করিমগঞ্জে।
সীমান্ত জেলায় প্রথমবারের মতো এমভি শিক্ষক সংস্থার এরকমের সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
আগামী রবিবার রামকৃষ্ণ মিশন রোডের বিপিনচন্দ্র পাল স্মৃতিভবনে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনকে সফল করে তোলার জন্য একটি অভ্যর্থনা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শুক্রবার নগেন্দ্রনাথ তিলকচাঁদ মধ্যবঙ্গ বিদ্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদিক বৈঠকে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়েছেন অভ্যর্থনা কমিটির কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানকে সফল করে তোলার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন শিক্ষক সংগঠনের পদাধিকারীরা। এক দিবসীয় অনুষ্ঠানের জন্য বাজেট ধরা হয়েছে দেড় লক্ষ টাকা।
৬ নভেম্বর সকাল সাড়ে আটটায় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সারা অসম এমভি শিক্ষক সংস্থার দিনভর কার্যসূচির সূচনা হবে।
পতাকা উত্তোলন করবেন সংস্থার রাজ্যিক সভাপতি রঞ্জিত বরঠাকুর। তারপর শহীদ বেদীতে মাল্যদান করা হবে। প্রথম পর্যায়ের অনুষ্ঠানে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করবেন এএসটিসির চেয়ারম্যান মিশনরঞ্জন দাস। মুখ্য বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন করিমগঞ্জ কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. রাধিকারঞ্জন চক্রবর্তী।
এছাড়াও অতিথিদের সংবর্ধনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি কার্যসূচি রয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে সংগঠনের কার্যকরী কমিটির সভা হবে।
সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত অভ্যর্থনা কমিটির সম্পাদক অশোক দত্ত সাংবাদিকদের বলেছেন, কমপক্ষে ৯০ জন শিক্ষক প্রতিনিধি বর্হিজেলা থেকে এখানে আসবেন। এরমধ্যে অনেক মহিলাও রয়েছেন।
বদরপুর থেকে প্রতিনিধিদের বরণ করে করিমগঞ্জে নিয়ে আসা হবে। তিনি আরো বলেন, বছরে চারবার কার্যকরী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তবে করিমগঞ্জে প্রথমবারের মতো কার্যকরী কমিটির সভা এবং শিক্ষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জেলায় যেহেতু প্রথমবারের মতো সংগঠনের প্রদেশ কার্যকরী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, ফলে সেটাকে সফল করে তোলার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন অভ্যর্থনা কমিটির সম্পাদক।
অশোক দত্ত বলেছেন, মধ্যবঙ্গ শিক্ষক সংস্থার কর্মকর্তারা ছাড়াও এলপি, এমই, হাই, হায়ার সেকেন্ডারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
সবার প্রচেষ্টায় অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন শিক্ষক সংস্থার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ দে।
করিমগঞ্জ জেলা মধ্যবঙ্গ শিক্ষক সংস্থার সভাপতি গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, জেলায় মোট ৪৮ টি এমভি বিদ্যালয় রয়েছে। এতে কর্মরত রয়েছেন প্রায় ৪০০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা।
প্রয়োজনের তুলনায় শিক্ষক-শিক্ষিকা অনেক কম রয়েছেন জেলার মধ্যবঙ্গ বিদ্যালয়গুলিতে। আটটি ক্লাস থাকে। সেই হিসাবে আটজন শিক্ষকের প্রয়োজন।
কিন্তু প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষিকা নেই। মাত্র কুড়ি শতাংশ রয়েছেন। এছাড়া জেলার মধ্যবঙ্গ বিদ্যালয়গুলিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শ্রেণীকক্ষের অভাব রয়েছে।
কোনো-কোনো বিদ্যালয়ে একটিমাত্র শ্রেণীকক্ষে ক্লাস করতে হয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। এর ফলে মারাত্মক সমস্যা দেখা দেয়। সমস্যার সমাধান করার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি। সাংবাদিক বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজশ্রী পুরকায়স্থ, গৌরীশ ভট্টাচার্য, রূপালী চক্রবর্তী।