জুলি দাস
করিমগঞ্জ, ৭ নভেম্বর : আরএসএস-এর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন তিনি। যাকে বলে ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’! ফলে হাতের কাছে পেয়ে সঙ্ঘের সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলের সঙ্গে দেখা করার জন্য সবাই উদগ্রীব।
বিশেষ করে একটি রাজনৈতিক দলের নেতারা।
তবে এ মুহূর্তে সঙ্ঘের দ্বিতীয় ক্ষমতাবান ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার মনোবাসনা থাকলেই যে সেটা সম্ভব হবে, এমনটা নয়।
কারণ একমাত্র নির্ধারিত সংঘ মূলের কয়েকজন ছাড়া বাস্তবে কেউই তার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি মিলছে না। এমনকি বিজেপির অনেক প্রভাবশালী নেতারাও তার সংস্পর্শে যেতে পারছেন না।
রবিবার থেকে করিমগঞ্জ সরস্বতী বিদ্যানিকেতনে শুরু হয়েছে আরএসএস-এর দক্ষিণ অসম প্রান্তের কার্যকর্তা সম্মেলন।
সম্মেলনের প্রবেশ মুখে বিশাল তোরণ রয়েছে। অনুষ্ঠান চলছে পাবলিক উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন সোমবার দুপুরে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়। রাতেও কার্যসূচি ছিল।
মোহন ভগবতের পরই আরএসএস-এ যিনি শেষ কথা, সেই দত্তাত্রেয় হোসাবলে সোমবার দুপুরে সরস্বতী বিদ্যানিকেতনে সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখা-সংগঠনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এই সাক্ষাৎ তালিকায় নাম ছিল বরাক বিজেপির তিন কর্মকর্তার। এর মধ্যে দু’জনই শিলচরের, একজন করিমগঞ্জের। তারা হলেন-শিলচরের সাংসদ ডা: রাজদ্বীপ রায়, প্রদেশ বিজেপির সম্পাদক কনাদ পুরকায়স্থ এবং প্রবীণ বিজেপি নেতা বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য।
সদ্য গঠিত বরাক বিজেপির সমন্বয় কমিটির সভাপতি হচ্ছেন রাজদীপ এবং কনাদ সাধারণ সম্পাদক। রবিবারই নতুন কমিটি গঠিত হয়। এক্ষেত্রে তাঁদের সঙ্গে দত্তাত্রেয় হোসাবলের সাক্ষাৎ নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।
তবে কী আলোচনা হয়েছে, এর বিষয়বস্তু জানা সম্ভব হয়নি। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হোসাবলে তাঁদের টিপস দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এছাড়া এদিন গেরুয়া ব্রিগেডের আর কোনো নেতা তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার অনুমতি লাভ করতে পারেন নি। সাক্ষাৎ করার অনুমতি মিলবে, এই আশায় রয়েছেন করিমগঞ্জের অনেক বিজেপি নেতারা।
এদিন এছাড়াও ভিএইচপি কর্মকর্তা শান্তনু নায়েক, বজরং দল, ভারতীয় মজদুর সংঘ, শিক্ষা ভারতী, সংস্কার ভারতী, ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ, কল্যাণ ভারতীর কার্যকর্তারা দত্তাত্রেয় হোসাবলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এদিন এসব কার্যকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎপর্ব শেষে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। মূলত আরএসএস-এর ভগ্নি সংগঠনগুলোর কর্মধারা এবং কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
আরএসএস-এর চিন্তাধারা এবং সংগঠনের বৌদ্দিক ও সাংস্কৃতিক বিষয় নিয়েই বৈঠকে বিস্তারিতভাবে আলোচনা হয় বলে খবর পাওয়া গেছে।
বর্তমান সময়ে ভারতীয় সমাজ জীবনে সংগঠনের কাজকর্মকে আরো গতিশীল করে চিন্তা চেতনাকে বৌদ্দিক সমাজে ক্রিয়াশীল করে তোলাই হচ্ছে বৈঠকের মূল আলোচ্যসূচি।
দুপুর সাড়ে এগারোটা থেকে শুরু হওয়া বৈঠক চলে টানা একঘন্টা ব্যাপী।
সম্মেলন উপলক্ষে বিভিন্নস্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের (অবশ্যই আরএসএস-এর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত) আনাগোনা পরিলক্ষিত হয়েছে অনুষ্ঠানস্থল সরস্বতী বিদ্যানিকেতন এবং পাবলিক উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। ট্রাফিক জ্যাম এড়াতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ওই এলাকায় যথেষ্ট রয়েছে ট্রাফিক পুলিশ। মঙ্গলবার সম্মেলনের অন্তিম দিন। ওইদিন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।