অবৈধ বার্মিজ সুপারির ব্যবসা জারী থাকলেও স্থানীয় সুপারির উপর নিষেধাজ্ঞা কেন? প্রশ্ন চাষিদের
দীপন দাস, কাটিগড়া, ১১ নভেম্বর : বরাক উপত্যকার অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিতে দিসপুর স্থানীয় সুপারির উপর বেন লাগিয়ে কৌশলে প্রশাসন দিয়ে অবৈধ বার্মিজ সুপারির ব্যবসা জারী রেখেছে।
এই অভিযোগ স্থানীয় সুপারির ব্যবসায়ী এবং চাষিদের।
কারণ বর্ষাকালের সমস্ত লোকসান পূরণের একমাত্র সম্বল কাঁচা সুপারির রপ্তানি আজ প্রায় সম্পূর্ণ বন্ধ।
সরকারী নীতির যাতাকলে উপত্যকার মধ্যবিত্ত থেকে আরম্ভ করে অতি দরিদ্র সুপারি চাষিদের জীবনযাত্রা বিষম সংকটে।
বন্যাপ্রবল বরাক উপত্যকার কৃষকদের অর্থ উপার্জনের একমাত্র সম্বল এই সুপারি বিক্রয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যে প্রভাব পড়েছে জনজীবনে তার কিছু দৃশ্য ধরা পড়েছে গণ আওয়াজের ক্যামেরায়।
সুপারি বাণিজ্যের যে কয়েকটি বাজার রয়েছে বরাক উপত্যকায় তার মধ্যে অন্যতম একটি বাজার হচ্ছে কাটিগড়া চৌরঙ্গীর সাপ্তাহিক হাট।
প্রতি শুক্রবার উপত্যকার বিভিন্ন প্রান্তের চাষিরা তাদের কষ্টার্জিত সোনালী সুপারির পসরা নিয়ে ভিড় জমান এই বাজারে।
একসময় রাজ্য ও রাজ্যের বাহিরের খদ্দেরগন ক্রয় বাণিজ্যের জন্য বেশ প্রস্তুতি নিয়ে আসতে দেখা যেত হাটে, এবার কিন্তু বাজারের সেই রমরমা ঐতিহ্য আর নেই।
উপত্যকার দুর দুরান্ত থেকে আসা প্রতিজন চাষী তাদের নিজ নিজ চাষের সুপারি বিক্রি করার জন্য পসরা সাজিয়ে বসে থাকলেও নেই কোনও ক্রেতা।
অনেক বিক্রেতাদের মুখে শোনা গেলো তাদের হৃদয় বিদারক করুণ কাহিনী। কেহ এই সুপারি বিক্রয় করে অসুস্থ রোগীর ঔষধ নিয়ে যাবেন তো কেউ সুপারি বিক্রয় করে নিয়ে যাবে যাবেন ঘরের একান্ত নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী।
বিক্রেতাদের চোখের সামনে বস্তা ভর্তি সুপারি আর মনের মধ্যে প্রয়োজনীয় বস্তুর তালিকা থাকলেও বাজারে নেই কোনও ক্রেতা।
সারি সারি করে সুপারি বস্তা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেও কেউ ক্রয় করতে রাজি নয় সুপারি। এমন হাল বরাক উপত্যকার প্রতিটি বাজারের।
এদিকে দু’একজন সুপারি ব্যবসায়ীর সাথে কথা বললে তাদের সুজা সাপটা জবাব, সুপারি খরিদ করে ভিন রাজ্যে বিক্রয় করাতো দুরের কথা ভিন্ন জেলায় ও নিয়ে যেতেই দিচ্ছে না পুলিশ।
ব্যবসায়ীদের সাফ কথা ঘাঁটির কড়ি দিয়ে আপদ এনে জেলে যাওয়ার দরকার নেই।
এদিকে চৌরংগী বাজার মালিকদের বক্তব্য সুপারি ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাজারের অফুরন্ত ক্ষতি সাধন হয়েছে। সুপারি ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সুপারির সময় কালে বাজারের সব ধরনের ব্যবসায় বিরাট ক্ষতি সাধন হচ্ছে। মাসে মাসে তাদেরে সরকারি রেভিনিউ প্রদান করতে হয়, কিন্তু তা সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না