গুয়াহাটি, ১৩ নভেম্বর : আসামের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর করতে বিজেপি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং নিয়ম প্রণয়ন করা সময়ের অপেক্ষা মাত্র, এভাবেই নিজের অভিমত প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
শনিবার হিন্দুস্তান টাইমসকে তিনি বলেছেন, তার মাতৃভূমিতে নাগরিক হওয়া একজন হিন্দুর বৈধ অধিকার এবং বিজেপি সম্পূর্ণভাবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) পাশে দাঁড়িয়েছে।
কেন এই আইনের নিয়মগুলি এখনও প্রণয়ন করা হয়নি তা জানতে চাইলে শর্মা বলেন, কিছু সংখ্যক লোকেরা কা-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল এবং পরে করোনভাইরাস মহামারীর জন্যই বিলম্ব হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী শর্মা বলেন, তবে ভারতীয় জনতা পার্টি এব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে। সংসদে আইন পাস করেছে, এখন শুধু সময়ের ব্যাপার।
তিনি বলেন, আমরা তা বাস্তবায়ন করব। মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, কেউ প্রশ্ন করেছেন রামমন্দির কোথায়? কবে হবে? আপনি এখন রামমন্দির দেখেছেন।
কেউ আবার বলেছেন, ৩৭০ ধারা কবে প্রত্যাহার করা হবে, আখন আর নেই। ইউসিসি (ইউনিফর্ম সিভিল কোড) যেভাবে আসবে, একইভাবে সিএএ-ও আসবে।
সিএএ ১১ ডিসেম্বর, ২০১৯-এর ১১ ডিসেম্বর সংসদে সিএএ পাস হয়েছে এবং পরের দিন রাষ্ট্রপতি অনুমোদন প্রাপ্ত হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিষয়টি জানানো হয়।
শর্মা বলেন, কংগ্রেসের প্রাক্তন নেতা মল্লিকার্জুন খার্গ কংগ্রেসকে নিন্দা করে বলেছিলেন যে শশী থারুর যদি দিলের সর্বভারতীয় পদে জয়লাভ করতেন তবে তিনি বলতেন কংগ্রেসে গণতন্ত্র এসেছে।
যারা নির্বাচনে থারুরকে ভোট দিয়েছেন তাদের সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে, শর্মা বলেন যে কংগ্রেসে অনেক ভাল চিন্তার লোক রয়েছে এবং তারা শীঘ্রই বিজেপিতে আসবে।
যে ১০০০জন শশী থারুরকে ভোট দিয়েছেন, আমি মনে করি তারাই ছয় মাস বা এক বছরের মধ্যে বিজেপিতে যোগ দেবে, এভাবেই কংগ্রেসের সমালোচনা করেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
বিজেপি গণতান্ত্রিক অভ্যন্তরীণ নির্বাচন করে না এমন যুক্তি প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন যে কোনও বিজেপি সভাপতিকে একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে এবং সেই ব্যক্তিকে রিমোট-নিয়ন্ত্রিত করা যায় না। ২০২৪ সালে, বিজেপির আরও দুই-তিনটি রাজ্যে বিস্তৃত হবে এবং এই সম্প্রসারণ আরও দুটি নির্বাচনের জন্য অব্যাহত থাকবে। ২০২৯ সালের মধ্যে দেশের সর্বত্র বিজেপিই দেখা যাবে বলেও তিনি যোগ করেন।