গুয়াহাটি, ১৩ নভেম্বর : অসমের পাশাপাশি সমগ্ৰ উত্তর-পূৰ্বাঞ্চলের ৮ হাজার বিদ্ৰোহী সংগঠনের সদস্য মূলস্রোতে ফিরে এসেছে এবং এক্ষেত্ৰে বড়ো উগ্ৰপন্থী সংগঠনের প্ৰাক্তন সদস্যরাই নেতৃত্ব প্ৰদান করেছেন।
মুখ্যমন্ত্ৰী ড. হিমন্তবিশ্ব শৰ্মা রবিবার কোকরাঝাড়ের চন্দ্ৰপাড়ায় ইউপিপিএলের তৃতীয় ত্ৰি-বাৰ্ষিক সম্মেলনে অংশ নেন এবং সেখানেই তাঁর বক্তব্যে উপরোক্ত বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যেসকল প্রাক্তন উগ্ৰপন্থী সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধে থাকা মামলা প্ৰত্যাহার হয়নি এক্ষেত্রে তাদের সহায়তা করতে সরকার দায়বদ্ধ।
এক্ষেত্ৰে সরকার ইউপিপিএল দলের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে প্ৰতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও মুখ্যমন্ত্ৰী উল্লেখ করেন।
তিনি যুবসমাজকে স্টার্টআপ ক্ষেত্রে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রমোদ বড়োর নেতৃত্বে বিটিআর শান্তি ও প্রগতির নতুন দিগন্তের দিকে ধাবমান।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্ৰী কোকরাঝাড়ে সরুসজাইর আদলে একটি ক্রীড়া প্রকল্প আরম্ভ করা হবে বলে ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে আজ রাজ্য সরকারের তরফে দেড়শো কোটি টাকার অনুমোদন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন ।
বিটিআরে সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী বছর তামুলপুরে দ্বিতীয় চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় স্থাপন করা ছাড়াও ওদালগুড়িতে বড়োল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস নিৰ্মাণ করা হবে।
মুখ্যমন্ত্ৰী বলেন, ২০২০-এর ২৮ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত তৃতীয় বড়ো শান্তি চুক্তি রূপায়ণে রাজ্য সরকার দায়বদ্ধ। উল্লেখযোগ্য যে, এদিনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ইউপিপিএলের এই সম্মেলনে বিটিসি মুখ্য কাৰ্যবাহী এবং দলের সভাপতি প্রমোদ বড়োর পাশাপাশি রাজ্যসভার সাংসদ রণগৌড়া নাৰ্জারিও উপস্থিত ছিলেন।