জুলি দাস করিমগঞ্জ : প্রতিটি জেলার সমহারে উন্নয়ন না হলে রাজ্যের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই রাজ্যের উন্নয়নের জন্য করিমগঞ্জ জেলারও উন্নয়ন একান্ত আবশ্যক।
করিমগঞ্জ জেলাকে সমগ্র রাজ্যের মধ্যে একটি উন্নত জেলা হিসাবে গড়ে তোলাই হলো মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মার স্বপ্ন। আর এই স্বপ্ন যেকোন মূল্যে বাস্তবায়িত হবেই।
ক্যাবিনেট বৈঠক শেষে শিলচর থেকে সোজা করিমগঞ্জ এসে পৌঁছান জলসম্পদ ও তথ্য জনসংযোগ বিভাগের মন্ত্রী পীযুষ হাজরিকা। জেলা প্রশাসন ও বিভাগীয় আধিকারিকদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক সেড়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আত্মবিশ্বাসের সুরে কথাগুলো বলেন তিনি।
বলেন জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে সরকারি কাজকর্মের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সময় কম থাকার কারনে বিস্তারিত আলোচনা সম্ভব হয়নি।
তবে প্রতিমাসে জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করার কথা জানান মন্ত্রী পীযুষ।
পরবর্তী সফরে সময় হাতে নিয়ে আসবেন এবং পর্যালোচনা বৈঠকে সব বিষয় নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে বিস্তারিত আলোচনা করবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি।
ক্যাবিনেট বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী যেহেতু মেডিক্যাল কলেজের অর্থ মঞ্জুর করেছেন, তাই খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে বলে জানান পীযুষ।
তিনি জলসম্পদ বিভাগের মন্ত্রী, তাই এই বিভাগের সবকিছু তাঁর জানা আছে। এরজন্য আজকের পর্যালোচনা বৈঠকে এই বিভাগ নিয়ে বেশীকিছু আলোচনা হয়নি।
তবে জেলার চাল সংগ্রহ, পানীয় জল, যোগাযোগ ব্যবস্থার সর্বশেষ অবস্থান নিয়ে বিভাগীয় আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী পীযুষ হাজরিকা।
পর্যালোচনা বৈঠকে উপস্থিত জেলাশাসক, পুলিশ সুপার সহ বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিকদের জেলায় চলমান সরকারি প্রকল্পগুলির কাজ শীঘ্রই সম্পাদন করার দিকে নজর দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
বৈঠক চলাকালীন সময়েই কাজের বরাতপ্রাপ্ত ঠিকাদারদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান মন্ত্রী পীযুষ।
মন্ত্রী পীযুষ হাজারিকা করিমগঞ্জের অভিভাবক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর আজ প্রথম সীমান্ত জেলায় এসে ডিসির কনফারেন্স হলে জেলার বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে সরকারি প্রকল্প সমুহের অগ্রগতির খতিয়ান নিয়ে পর্যালোচনা করেন।
সভায় মন্ত্রী সময়ের স্বল্পতার জন্য সব বিভাগের প্রকল্প নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করতে সক্ষম না হলেও পূর্ত বিভাগের প্রকল্পের বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।
বিভিন্ন কাজের বরাত প্রাপ্ত ঠিকাদার যারা সভায় গড় হাজির ছিলেন তাঁদেরে মোবাইল ফোনে ডিসির কনফারেন্স হল থেকে নির্দিষ্ট সময় সীমার মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন।
অন্যতায় পরবর্তী পর্যালোচনা সভায় তাঁদের কাজের অগ্রগতি দেখে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে মন্ত্রী স্পষ্ট তাঁদেরে জানিয়ে দেন।
সভায় মন্ত্রী হাজারিকা বলেন, খুব শীঘ্রই তিনি ফের জেলা সফরে আসবেন, যেহেতু তিনি করিমগঞ্জের অভিভাবক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহন করেছেন, তাই পরবর্তী সফরে এসে সব বিভাগের কাজের পর্যালোচনা তিনি বিস্তৃত ভাবে করবেন। এমনকি সরকারি প্রকল্প বাস্তবানে কোথাও গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না বলে মন্ত্রী আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেন।