লখনউ, ৩০ নভেম্বর : লখনউতে এক বিচারকের স্ত্রী তার ক্রেডিট কার্ডের সীমা বাড়ানোর চেষ্টা করার সময় সাইবার ঠগদের দ্বারা ১৩ লক্ষ টাকা প্রতারিত হয়েছেন।
তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন যে ইন্টারনেটে তার ব্যক্তিগত ব্যাঙ্কের হেল্পলাইন নম্বরের অনুসন্ধান করেছিলেন, সেখানেই তিনি প্রতারকের মুখোমুখি হয়েছেন।
ইনস্পেক্টর সাইবার সেল রঞ্জিত সিং বলেছেন যে, প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে যে প্রতারক তার ফোনের রিমোট-কন্ট্রোল অ্যাক্সেস করে অ্যাকাউন্টের বিশদ তথ্য নিয়েছে।
আমরা একটি এফআইআর দায়ের করেছি এবং প্রতারকদের অবস্থান খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান ইনস্পেক্টর সাইবার সেল রঞ্জিত সিং।
ভুক্তভোগী বলেছেন যে তিনি যখন নম্বরটি ডায়াল করেছিলেন, তখন একজন প্রতারক ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি হিসাবে তাকে তার ক্রেডিট সীমা বাড়ানোর জন্য একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫,০০০ টাকা স্থানান্তর করতে বলেছিল এবং আশ্বাস দিয়েছিল টাকা ২৫ নভেম্বর ফেরত দেওয়া হবে।
অভিযোগকারী আরও দাবি করেন, টাকা ফেরত না পেয়ে তিনি ওই নম্বরে ফোন করেন, তখন প্রতারক তাকে একটি লিঙ্ক পাঠায় এবং একটি ফর্ম পূরণ করতে বলে যাতে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ চাওয়া হয়।
অভিযোগকারী বলেন টাকা ফেরত পাইনি, ২৮ নভেম্বর আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১৩ লক্ষ টাকা লোন হিসাবে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশের ভাষ্যমতে, প্রতারকরা গুগোলে তাদের নম্বরগুলিকে একটি কাস্টমার কেয়ার হেল্পলাইন নম্বর বলে দাবি করছিল।
তারা কলকারীদের এমন একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলে যা তাদের মোবাইল ফোনে অ্যাক্সেস দেয় এবং তাদের ব্যাঙ্কের বিবরণ এবং OTP-তে অ্যাক্সেস পেতে সাহায্য করে।
কোনও পরিস্থিতিতে ফোন বা ই-মেইলে কারও সাথে কার্ড নম্বর, সিভিভি, এটিএম পিন, ব্যাঙ্কিং পাসওয়ার্ড এবং ওয়ান-টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) এর মতো ব্যাঙ্কিং বিবরণ শেয়ার না করতেও বলেছেন ইনস্পেক্টর সাইবার সেল। একটি সাধারণ অনুশীলন হিসাবে, কোনও ব্যাঙ্ক বা স্বনামধন্য সংস্থা তার গ্রাহকদের ফোন বা ইমেলের মাধ্যমে গোপনীয় বিবরণের জন্য জিজ্ঞাসা করে না বলেও ওই পুলিশ অফিসার বলেছেন।