গুয়াহাটি, ৩০ নভেম্বর: মুখরোহ ঘটনার সঙ্গে আন্তঃরাজ্য সীমানা বিরোধের কোন সম্পর্ক নেই মঙ্গলবার বললেন আসাম পুলিশের বিশেষ ডিজিপি (আইন শৃঙ্খলা) জ্ঞানেন্দ্র প্রতাপ সিং।
তিনি এটি একটি কাঠ চোরাচালান মামলা হিসাবে ব্যাখ্যা করেন। ডিজিপি সিং মুখরোহ পরিদর্শনের সময় পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে বলেন, আমরা বন বিভাগ এবং স্থানীয় পুলিশকে এই অঞ্চলে বন সম্পদ পাচারের ঘটনাগুলির যথাযথ তদন্ত করতে বলেছি।
বনজ সম্পদ পাচারের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
যদি মেঘালয়ের কোনও ব্যক্তি জড়িত থাকে তবে মেঘালয় পুলিশকে তাদের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অবহিত করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্ট এবং ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল বন সংক্রান্ত বিষয়ে যেমন ভাবে বিস্তৃত নির্দেশিকা তৈরি করেছে সেই রকম বলেছেন ডিজিপি।
পুলিশের গুলিতে ছয়জনের প্রাণহানির ঘটনার এক সপ্তাহ পর মুখরোহে যে অস্বস্তিকর শান্তি বিরাজ করছে, সেই বিষয়ে জানতে চাইলে সিং বলেন, আইজি, ডিআইজি সেন্ট্রাল রেঞ্জ (ডিফু) এবং কমিশনার শিবির করেছেন।
আগের পরিস্থিতি এবং ২২ নভেম্বর ঘটনার অবস্থার মধ্যে পার্থক্য গুছেতে আমরা জনগণের আস্থা তৈরি করার চেষ্টা করছি, তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগবে বলে তিনি জানান।
ডিজিপি স্পেশাল বলেন, সিবিআই-এর কাছে তদন্ত হস্তান্তর করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে আমরা কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে চিঠি দিয়েছি এবং বিষয়টি বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রয়েছে।
তদন্ত স্থানান্তরের আদেশ এক বা দুই দিনের মধ্যে পাওয়া যাবে।
অন্যদিকে, কার্বি অ্যাংলং স্বায়ত্তশাসিত কাউন্সিলের (কেএএসি) প্রধান নির্বাহী সদস্য তুলিরাম রোংহাং, এসপি (পশ্চিম কার্বি আংলং) এবং গ্রামের অন্যান্য কর্মকর্তারা যারা বিশেষ ডিজিপি (আইন শৃঙ্খলা) -র সাথে ছিলেন তারা বলেছেন, সীমান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য শীঘ্রই দুই রাজ্য সরকারের মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
২২ নভেম্বর যা ঘটেছে তা দুর্ভাগ্যজনক। রোংহাং বলেছেন আমরা ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানাই, কাঠ পাচারের মাধ্যমে ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে বলে দাবী করেন তিনি।