জুলি দাস, করিমগঞ্জ, ১২ ডিসেম্বর : কাস্টমসের প্রধান কার্যালয়ের পরিকল্পনায় এবং কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার সুনন্দ ঝদিয়ার তত্ত্বাবধানে কাস্টমস অ্যক্ট ১৯৬২-র ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে করিমগঞ্জ সুতারকান্দিস্থিত বিএসএফ, এলপিএআই, ইমিগ্রেশন কর্মী-আধিকারিকদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
রবিবার বাংলাদেশের জাকীগঞ্জের কাস্টমস কর্মী-আধিকারিকদেরও তা তুলে দেওয়া হয়।
কাস্টমসের প্রধান কার্যালয়ের দেওয়া পরিকল্পনা অনুযায়ী এদিন এই কার্যসূচি সম্পন্ন করেন করিমগঞ্জের বিভাগীয় আধিকারিকরা।
এছাড়া কিছু থিম ক্যালেন্ডারও প্রস্তুত করা হয়। কাস্টমস সুপার হেমাঙ্কর রায়ের তত্ত্বাবধানে এগুলি বাস্তবায়িত হয়েছে। কাস্টমসের পক্ষ থেকে স্মারকও এদিন তুলে দেওয়া হয় বিভিন্নজনকে।
সুতারকান্দি কাস্টমস ছাড়াও একইভাবে করিমগঞ্জ ফেরিঘাট, ত্রিপুরার কৈলাসহরের পুরনো রাগনাবাজার, মনুর সীমান্ত এলাকায়ও মিষ্টি, স্মারক ইত্যাদি তুলে দেওয়া হয়েছে কাস্টমসের পক্ষ থেকে।
কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার সুনন্দ ঝদিয়ার তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানগুলি সম্পন্ন হচ্ছে।
কাস্টমস অ্যক্ট ১৯৬২-র ৬০ বছর পূর্তিতে গত সোমবার থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান চলছে করিমগঞ্জে। শিববাড়ি রোডের কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনারের কার্যালয়, কালিবাড়ি রোড ফেরিঘাট, সুতারকান্দি কার্যালয় ইত্যাদি আলোর মালা দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে।
স্থানে স্থানে বসানো হয়েছে ফ্লেক্স, সাইনবোর্ড ইত্যাদি।
ষাট বছর পূর্তির অঙ্গ হিসেবে নগেন্দ্রনাথ তিলকচাঁদ মধ্যবঙ্গ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে এক শিক্ষামূলক ভ্রমণের আয়োজন করে করিমগঞ্জ কাস্টমস।
কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার কার্যালয়, করিমগঞ্জ ফেরিঘাট ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন, সুতারকান্দির স্থলবন্দরের ইন্দো-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তের জিরো পয়েন্টে নিয়ে যাওয়া হয় ছাত্র-ছাত্রীদের।
এলপিএআই-র কনফারেন্স হলে ছাত্রছাত্রী এবং কাস্টমস আধিকারিকদের মধ্যে পরস্পর মত বিনিময় হয়। কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার সুনন্দ ঝদিয়া কাস্টমস, বিএসএফ, এলপিএআই, ইমিগ্রেশন-এর কার্যপ্রণালী এবং ভূমিকা তুলে ধরেন ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে।
কী কী পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়, সেগুলো ছাত্র-ছাত্রীদের জানান ঝদিয়া। ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, ভৌগোলিক পশ্চাদপদ এলাকা, ব্যবসা এবং অর্থনীতি সম্পর্কিত দুষ্কর্ম, স্থানীয় জনগণের মধ্যে সচেতনতার অভাব ও পর্যাপ্ত পরিকাঠামো ইত্যাদি চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে হয় কাস্টমস আধিকারিকদের।
তিনি আরো বলেছেন, এনডিপিএস অ্যক্ট ১৯৮৫ অমান্য করলে শাস্তির বিধান রয়েছে। উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাস্টমসের ভূমিকা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করে তোলার আহ্বান জানান।
ঝদিয়া আরো বলেছেন, জাতীয় নিরাপত্তা এবং সীমান্ত এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়ন হয় বৈধভাবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকা অতিক্রম করলে।
উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষিকা, সিআরসিসি, স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি সীমান্তে অবৈধ পাচার বন্ধ করতে যুব সমাজের মধ্যে সজাগতা বৃদ্ধি করতে অঙ্গীকারবদ্ধ হোন।
অনুষ্ঠানে কাস্টমস সুপার সলিল চক্রবর্তী, প্রশাসনিক আধিকারিক পূরবী দাস, কাস্টমস সুপার বিপ্লব পুরকায়স্থ, হেমাঙ্কর রায়, পুলক ভট্টাচার্য, টিকে নাগ, পরিদর্শক সুব্রত আচার্য, প্রদীপ দেব, বিশ্বেন্দর রাওয়াত, প্রেম বাহাদুর সোনার, মোহনলাল বৈষ্ণব, এলপিএআই-র অনুপরঞ্জন দেব সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। প্রতিটি অনুষ্ঠানই সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে সব আধিকারিকদের সম্বিলিত প্রচেষ্টায়।