নতুন দিল্লী, ১৫ ডিসেম্বর : ফ্লিপকার্টকে একটি নোটিশ জারি করেছে দিল্লি পুলিশ।
ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অ্যাসিড কিনে দুষ্কৃতকারীরা দ্বারকায় ১৭ বছর বয়সী একটি মেয়ের উপর অ্যাসিড হামলা চালানোর অভিযোগে দিল্লি পুলিশ ফ্লিপকার্টে এই নোটিশ জারী করেছে।
এর আগে দিল্লি কমিশন ফর উইমেন (ডিসিডব্লিউ) আজ দ্বারকায় ১৭বছর বয়সী একটি মেয়ের উপর অ্যাসিড হামলার বিষয়ে অ্যামাজন এবং ফ্লিপকার্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের চিঠি লিখে অ্যাসিডের প্রাপ্যতার কারণ চেয়েছিল।
ডিসিডব্লিউ অ্যামাজন এবং ফ্লিপকার্টে অ্যাসিডের অবৈধ প্রাপ্যতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং বলেছে যে এটি জরুরিভাবে পরীক্ষা করা দরকার।
বুধবার পুলিশ জানিয়েছে, দিল্লির দ্বারকা জেলা এলাকাযর ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে দুই বাইক-বাহিত লোক অ্যাসিড দিয়ে আক্রমণ করেছে বলে অভিযোগ।
মেয়েটিকে সফদরজং হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে এবং বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে। কমিশন জানতে পেরেছে যে অভিযুক্ত ব্যক্তি অনলাইন শপিং পোর্টাল ‘ফ্লিপকার্ট’-এর মাধ্যমে অ্যাসিড কিনেছিলেন।
কমিশন আরও জেনেছে যে ‘আমাজন’ এবং ‘ফ্লিপকার্ট’-এর মতো শীর্ষস্থানীয় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্মগুলিতে অ্যাসিড সহজেই পাওয়া যায় যা বেআইনি।
অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলিতে অ্যাসিডের সহজলভ্যতা একটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয় এবং জরুরিভাবে এটি পরীক্ষা করা দরকার বলে ডিসিডব্লিউ-এর চেয়ারপারসন উল্লেখ করেছেন।
ই-শপিং প্ল্যাটফর্মে অ্যাসিডের প্রাপ্যতার কারণও ডিসিডব্লিউ চেয়ারপারসন জানতে চেয়েছেন। ই-শপিং প্ল্যাটফর্মে কেন একটি পণ্য হিসাবে ‘অ্যাসিড’ রাখা হয়েছে এমন বিক্রেতাদের সম্পূর্ণ বিবরণও চেয়েছেন।
অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অ্যাসিড পণ্য পোস্ট করার আগে বিক্রেতার লাইসেন্স চেক করা হয়েছিল কিনা? যদি না হয় এর কারণও চেয়েছে ডিসিডব্লিউ।
অনলাইনে যারা এসিড কিনছেন তাদের ফটো আইডি চাওয়া হয়েছে কিনা? তাদের ফটো আইডি সহ ক্রেতাদের সম্পূর্ণ তালিকাও ডিসিডব্লিউ চেয়েছে দুটি প্ল্যাটফর্মের কাছে।
অনলাইনে অ্যাসিড বিক্রির জন্য প্রাপ্ত লাইসেন্সের অনুলিপিও চাওয়া হয়েছে এবং অনলাইনে সরকার-নিয়ন্ত্রিত পণ্য বিক্রয় সংক্রান্ত গৃহীত নীতির একটি অনুলিপিও চেয়েছে।
যদি কোন নীতি না থাকে, তবে অনুগ্রহ করে এর কারণও জানাতে বলেছে।
এদিকে, দিল্লি পুলিশ আজ সকালে জাতীয় রাজধানী দ্বারকায় ১৭ বছর বয়সী কিশোরীর উপর অ্যাসিড নিক্ষেপের অভিযোগে তিন অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করেছে।
দ্বারকার ডিসিপি এম হর্ষবর্ধন বুধবার বলেছেন যে পুলিশ তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে মামলাটি সমাধান করেছে।
ভিকটিম তার পরিচিত দুই জনের ওপর সন্দেহ প্রকাশ করার পর পুলিশ একজনকে আটক করেছিল। পরে, আরেকটি ছেলে দিল্লিতে একটি নাবালিকা মেয়ের উপর অ্যাসিড-আক্রমণের ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন হিসাবে আবির্ভূত হয় বলে দ্বারকার ডিসিপি বলেছেন।
নির্যাতিতার বাবা বলেন, আমার দুই মেয়ে সকাল ৭টা ২৯ মিনিটে স্কুলে যাচ্ছিল, কিন্তু পরে সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটের দিকে আমার ছোট মেয়ে বাসায় ফিরে আমাকে জানায়, দুই ছেলে তার বড় বোনের ওপর এসিড নিক্ষেপ করেছে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় অভিযুক্তদের মুখ ঢাকা ছিল। নির্যাতিতার মা বলেছেন, আমার ছোট মেয়ে ছুটে এসে আমাকে জানায় যে তার বড় বোনের ওপর এসিড নিক্ষেপ করা হয়েছে।