তিনসুকিয়া, ১৬ ডিসেম্বর : আসামের তিনসুকিয়া জেলার লিডো এবং মার্গেরিটায় অবৈধ কয়লা খনি বন্ধ করার দাবী জানাল অল আসাম মটক যুব ছাত্র পরিষদ।
বৃহস্পতিবার তিনসুকিয়ার জেলা প্রশাসকের কাছে মটক যুব ছাত্র পরিষদ থেকে স্মারকলিপি দিয়ে লিডো এবং মার্গেরিটার এই অবৈধ কয়লা খনি দাবী জানিয়েছে।
মার্গেরিতার সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট লেখাপানির রিজার্ভ ফরেস্ট, তিরাপ রিজার্ভ ফরেস্ট এবং টিপং রিজার্ভ ফরেস্টে অননুমোদিত ব্যক্তি এবং এক্সকাভেটর, ডাম্পার ইত্যাদির মতো যানবাহন প্রবেশ নিষিদ্ধ করে ১৪৪ সিআরপিসি ধারার অধীনে একটি আদেশ জারি করার কয়েকদিন পরে মটক যুব ছাত্র পরিষদ এই দাবী জানিয়েছে।
পরিষদের সভাপতি কৃষ্ণকান্ত কাকোতির স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কয়লার নিরবচ্ছিন্ন চোরাচালান ঠিক সরকারের নাকের নিচে ঘটছে এনিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
জেলার কর্মকর্তাদের দায়ী করে বলা হয়েছে তারা যদি দুর্নীতিতে লিপ্ত হয় তবে একটি পরিচ্ছন্ন প্রশাসন দেয় প্রশাসন কি ভাবে দিতে পারে?
এই এলাকায় বড় আকারের অবৈধ খনির কথা তুলে ধরে কাকোতি অভিযোগ করেছেন, দেহিং পাটকাই জাতীয় উদ্যানের ভিতরে এবং দেহিং পাটকাই রেঞ্জে বেআইনি খনন হচ্ছে।
স্মারকপত্রে কাকোতি অভিযোগ করেছেন, যে গোবিন চেত্রি যিনি রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় পুরো অবৈধ কয়লা খনির রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনসুকিয়ার জেলা প্রশাসক নরসিং পাওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এবং নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সহকারী জেলা প্রশাসক (বন) এবং এসডিও মার্গেরিটার কাছে স্মারকলিপি পাঠিয়েছেন।
তিনসুকিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ গুরভের কাছে স্মারকলিপির একটি অনুলিপিও জমা দিয়েছে ছাত্রদের সংগঠন।
এই বছরের সেপ্টেম্বরের শুরুতে লিডোর কাছে একটি প্রত্যন্ত স্থানে অবৈধ ইঁদুর-গর্ত কয়লা খনিতে তিন শ্রমিকের মৃত্যুও হয়েছিল।
পরিবেশবাদী থেকে শুরু করে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন বারবার আওয়াজ তুলেছে, কিন্তু আসামের পূর্বাঞ্চলীয় জেলার জন্য অবৈধ কয়লা খনির বিপদ নতুন কিছু নয় বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ছত্রপরিষদের সভাপতি। মটক যুব ছাত্র পরিষদ আশা প্রকাশ করে বলেছে, এবার জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ এই সংগঠিত অবৈধ কয়লা খনির র্যাকেটকে নির্মূল করতে তৎপর হবে। অন্যতায় তারা নিজেরাই বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে।