জুলি দাস
করিমগঞ্জ, ১৬ ডিসেম্বর : করিমগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিহত করার জন্য উদ্যোগী হয়েছে জেলা প্রশাসন। দুর্ঘটনা কবলিত কিছু এলাকা পরিদর্শন করেছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা।
কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটে, সেটা ওই এলাকায় দাঁড়িয়ে পর্যবেক্ষণ করেছেন তাঁরা। জানা গেছে, এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে তা জমা দেওয়া হবে জেলাশাসক মৃদুল যাদবের হাতে।
এছাড়া জেলা সড়ক নিরাপত্তা কমিটির কাছে দেওয়া হবে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।
উল্লেখ্য, করিমগঞ্জ ডিটিও হিসেবে তাপাদার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে পরিবহন বিভাগের পক্ষ থেকে।
করিমগঞ্জের কিছু এলাকা রয়েছে, যেগুলিতে সড়ক দুর্ঘটনার পরিমাণ বেশি। এ নিয়ে তথ্য রয়েছে পরিবহন বিভাগ এবং পুলিশের কাছে।
দুর্ঘটনা কবলিত এলাকায় পরিবহন বিভাগের পক্ষ থেকে সাইনবোর্ড এবং চিহ্ন দেওয়া থাকলেও সেগুলিতে খেয়াল রাখেন না চালকরা। ফলে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়তে থাকে।
ডিডিসি বিক্রম দেবশর্মার নেতৃত্বে ক্রাশ ইনভেস্টিগেশন টিম-এর সদস্যরা শ্রীগৌরী, মালুয়া, বাবা হোটেল সংলগ্ন, নিলামবাজার ইত্যাদি এলাকা পরিদর্শন করেন।
উপস্থিত ছিলেন ডিএসপি (সদর) গীতার্থ দেবশর্মা, জেলা পরিবহন আধিকারিক সামসুদ্দিন তাপাদার দুর্ঘটনার কারণ পর্যবেক্ষণ করেন তাঁরা।
জেলা পরিবহন আধিকারিক এসইউ তাপাদার বৃহস্পতিবার বলেছেন, চালকদের অসাবধানতার জন্য প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। অনেক সময় দেখা যায় চালকের আসনে বসা খালাসি।
চালকরা স্টিয়ারিং অনেক সময় সমঝে দেন খালাসির হাতে। দুর্ঘটনা কবলিত এলাকায় পরিবহন বিভাগের পক্ষ থেকে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে সাইনবোর্ডে বিভিন্ন চিহ্ন রয়েছে।
কিন্তু সেগুলি মেনে চলেন না চালকরা। তিনি আরো বলেছেন, দুর্ঘটনা প্রতিহত করার জন্য চালকদের নিয়ে অনেক সময় সচেতনতা সভার আয়োজন করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে অধিকাংশ চালক আসেন না। একমাত্র সচেতনতাই সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে পারে। এছাড়া আরো অন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান ডিটিও। শীঘ্রই এব্যাপারে বিস্তারিত রিপোর্ট জেলাশাসকের কাছে জমা দেওয়া হবে বলে জানান জেলা পরিবহন আধিকারিক এসইউ তাপাদার।