আগরতলা, ২০ ডিসেম্বর : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ত্রিপুরা সফারে এসে যেন বিধানসভা নির্বাচনের ডংকা বাজিয়ে দিয়ে গেলেন।
২০২৩ সালের মার্চ মাসের মধ্যে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও প্রচারে কোন গতি লক্ষ্য করা যায়নি।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ত্রিপুরা সফারের পর যেন সব কয়টি রাজনৈতিক দল গতি ফিরে পেয়েছে।
যদিও বিরোধী সব কয়টি দল ভোটারকে কাছে টানার চেয়ে বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে টার্গেট করে মাঠ কাপাচ্ছে।
কিন্তু ত্রিপুরায় নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করতে সর্বতোভাবে সফল হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রী ত্রিপুরা ত্যাগ করার সঙ্গে সঙ্গে মাঠে নেমে পড়েছে প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএম দল। এরপর এক এক করে মাঠে নেমেছে কংরেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস।
অবশ্য ত্রিপুরার উপজাতি দল (মা্থাউরা) দল আগে থেকেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে শক্তি সঞ্চয় করে আসছে।
এদিকে সিপিআইএম বিজেপির প্রধানমন্ত্রীর সভাকে টেক্কা দিতে পরের দিনই মাঠে ডেকেছে পলিটব্যুরোর সদস্য বৃন্দা কারাতকে।
বৃন্দা কারাত সোমবার আগরতলায় মহিলাদের একটি বিশাল সমাবেশের নেতৃত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমন করেন।
কারাত প্রধানমন্ত্রীকে দেশের মেয়ে ও মহিলাদের সুরক্ষিত রাখতে ব্যর্থতার জন্য কটাক্ষ করেছেন।
বলেছিলেন যে ভারতে প্রতিদিন গড়ে ৮৬ জন মহিলা ধর্ষণের শিকার হন এবং প্রতি বছর যৌতুকের জন্য ৬,০০০ টিরও বেশি নববধূকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়।
কারাত মোদির দাবি নস্যাৎ করে বলেন, বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় (হাইওয়ে, ইন্টারনেট, রেলওয়ে এবং এয়ারওয়েজ) শাসনের পরিবর্তে, মাদকের মাফিয়া শাসন চলছে।
অনেক বিজেপি নেতা ধর্ষণ এবং মহিলাদের উপর নৃশংসতার সাথে জড়িত, কিন্তু এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
ত্রিপুরায় নজিরবিহীন নৈরাজ্য এবং জঙ্গলরাজ বিরাজ করছে বলেন।
সিপিআইএম নেতা বলেন, জি ২০ সভায় প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন ভারতে একটি সমৃদ্ধ গণতন্ত্র রয়েছে, কিন্তু ত্রিপুরায় স্থানীয় সংস্থা, লোকসভা এবং বিধানসভা উপনির্বাচন সহ চারটি নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক ভোটার থাকলেও তাদের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি।
ত্রিপুরার মানুশ এই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করছে , মোদী ত্রিপুরার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে এর পরিণতি দেখতে পাবেন বলেও কারাত উল্লেখ করেছেন।
তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সমালচনা করে বলেন, শাহ সবকিছু বুলডোজ করছেন, কিন্তু মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে একই কাজ করছেন না।
কারাত বলেন, ছয় হাজার কোটি টাকার নির্ভয়া তহবিল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ১০ বছর পরেও মহিলাদের সুরক্ষা বাড়ানোর লক্ষ্যে উদ্যোগ নেওয়া হলেও সরকার তহবিলের এক তৃতীয়াংশও ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, আসন্ন ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে তার দল সিপিআইএম এর প্রধান ইস্যু হবে বিজেপির অধীনে ডাবল ইঞ্জিন সরকার দ্বারা জনগণকে ডবল বঞ্চনা।