সুপ্রিয় পাল, দুল্লভছড়া, ২১ ডিসেম্বর : রামকৃষ্ণনগর শিক্ষা কেন্দ্রের অন্তর্গত ১১৬৬ নং আহমেদাবাদ প্রাথমিক বিদ্যানয়ের শিক্ষকরা বিপদের ঝুঁকি নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষাদান।
বিদ্যালয়টিতে ছয় জন শিক্ষক ও ৬৮ জন পড়ুয়া রয়েছে। এখানে আবার জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে ৩৬ নং অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রটিও।
কিন্তু টিন সহ অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রটির দেয়াল যে কোন মুহূর্তে ভেঙ্গে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তাছাড়া জল জীবন মিশনের মাধ্যমে ১১৬৬ নং আহমেদাবাদ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিশুদ্ধ পানিয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, কিন্তু নিম্নমানের কাজের কারণে দীর্ঘদিন থেকেই পানীয় জল থেকে বঞ্চিত রয়েছে বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।
অথচ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বা পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে কোন বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
ফলস্বরূপ রাধুনীদের অনেক দূরে থেকে পানীয় জল আনতে হচ্ছে।
অন্যদিকে, স্কুলটিতে ছয় জন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুইজনই সিআরসি হওয়াতে বিদ্যালয়টিতে স্থায়ী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা হয়নি।
রামকৃষ্ণনগর শিক্ষা কেন্দ্রের আধিকারিকের উদাসীনতায় বিদ্যালয়ের দু’জন শিক্ষক ও দু’জন সিআরসি একই স্থানে বহাল রাখায় বিদ্যালয়ের লেখা-পড়া লাটে উঠা সহ নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে পরিচালনার সমিতিকে।
বিদ্যালয়ের রাধুনী হিসাবে দীর্ঘ বেগম আড়াই বছর থেকে রুস্তানা বেগম নামের মহিলা কাজ চালিয়ে গেলেও সরকারি খাতায় তাঁর নাম তুলা হয়নি।
এছাড়া বিদ্যালয়ের শৌচালয়ও অর্ধনির্মিত।
উল্লেখ্য যে রামকৃষ্ণনগর শিক্ষা খন্ডের অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকার অভিভাবকদের কাছ থেকে জানা যায় সরকারি নির্দেশিত তালিকা অনুযায়ী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে মধ্যাহ্নভোজন পরিবেশন করা হচ্ছে না। এমন কি সপ্তাহে প্রতি শনিবার মধ্যাহ্নভোজন থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদেরকে।