বেরেলি, ২৫ ডিসেম্বর : উত্তরপ্রদেশের বেরিলিতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পরিচালিত একটি স্কুলে উর্দু প্রার্থনার অনুমতি দেওয়ার অভিযোগে একজন প্যারা-শিক্ষককে বরখাস্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ভিএইচপি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
বেরিলির ফরিদপুরের একটি সরকারি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের ‘মেরে আল্লাহ বুরাই সে বচনা মুঝকো, নেক জো রহ হো উস রাহ পে চালানা মুঝকো… ল্যাব পে আতি সে দুয়া বান কে তামন্না গাইতে শোনা যায়।
এটা বেশ কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল হয়েছে।
ভিএইচপির স্থানীয় শাখার কিছু সদস্য হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য প্যারা-শিক্ষক ওয়াজিরুদ্দিনের বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগ করেছে।
হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে শনিবার শিক্ষা মিত্র ওয়াজিরুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জেলে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন (গ্রামীণ)পুলিশ সুপার রাজকুমার আগরওয়াল।
এদিকে জেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বিনয় কুমার সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন যে ওয়াজিরুদ্দিনকেও চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে, এর আগে স্কুলের অধ্যক্ষ নাহিদ সিদ্দিকীকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
যদিও ভিএইচপি ওই শিক্ষককে হিন্দুদের অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য অভিযুক্ত করেছে, পরে পাওয়া গেছে প্রার্থনাটি নিখেছেন বিখ্যাত উর্দু কবি আল্লামা ইকবাল।
তিনি ‘সারে জাহান সে আছা, হিন্দুস্তান হামারা’ লিখেছিলেন বলেও জানা যায়। কিন্তু ভিএইচপি অভিযোগ করেছে, অভিযুক্তরা ছাত্রদের ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করছে।
তবে এই ঘটনার একটি ভিডিও ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, বিদ্যালয়ে মাদ্রাসা ধরণের প্রার্থনার প্রতীবাদ ভিএইচপির এটা প্রথম নয়, এ বছরের জুলাইয়ের শুরুতে কানপুরের একটি স্কুলের পরিচালকের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং ধর্মান্তরকরণের অভিযোগে মামলা করা হয়েছিল।
সকালের ছাত্রছাত্রীদের সমাবেশে ইসলামিক প্রার্থনা পাঠে অভিভাবকরা আপত্তি করার পরে এটি করা হয়।
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ২০০৩ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে শিক্ষার্থীরা হিন্দু, শিখ এবং খ্রিস্টান ধর্মের প্রার্থনাও পাঠ করে আসছে। এটি শিক্ষার্থীদের শেখানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রার্থনার আবৃত্তির উল্লেখ করে যে সকল ধর্ম সমান।