এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম জলাশয় শনবিলকে উপস্থাপন করতে তথ্য সংগ্রহে চষে ঘুরছেন এলাকা
সুপ্রিয় পাল, দুল্লভছড়া, ২৬ ডিসেম্বর : রাতাবাড়ি বিধানসভার শনবিল সংলগ্ন ফাকুয়া গ্রামের বাসিন্দা হরিভক্ত দাস ও জ্যোৎস্না রানী দাসের পূত্র নিপেন্দ্র দাস এবার দিল্লীতে ৩ নং বিশ্ব সন্মেলনে স্থান করে নিয়েছেন।
এর আগে নিপেন্দ্র ইন্দোনেশিয়ার বালি শহরে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করে সন্মানিত হয়েছেন। সেই সময় বিশ্ব সম্মেলনে ভারত তথা শনবিলের প্রাকৃতিক দৃশ্য তুলে সবার প্রশংসা পেয়েছিলেন।

আসাম রাজ্যের প্রত্যান্ত অঞ্চল করিমগঞ্জ জেলার রাতাবাড়ি বিধানসভা সমষ্টির বাসিন্দা নিপেন্দ্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বার্তা পৌঁছে দিতে ২০২০ ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের মে মাস পর্য্যন্ত সাইকেল নিয়ে ভারত ভ্রমণ করেছিলেন।
আগামী বছরের ২০ থেকে ২২ জানুয়ারি নতুন দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৩ নং বিশ্ব সন্মলনে এশিয়া মহাদেশের ১৯২টি দেশ বিশ্বশান্তি বার্তা নিয়ে অংশ গ্রহন করবে।
ফাকূয়া গ্রামের নিপেন্দ্র দাস এই সম্মেলনে শনবিলকে উপস্থাপন করার লক্ষ্যে তথ্য সংগ্রহ করতে গোঠা এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। জনগণের বসতি, দৈনিক উপার্জন সহ প্রাকৃতিক মনোহরণ দৃশ্য তুলে ধরতে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।

গত ২৪ ডিসেম্বর অবসরপ্রাপ্ত এডিসি নীলমণি দাসের দুল্লভছড়া বাস বভনেও আসেন। সেই সময় সাংবাদিকের জিজ্ঞাসাবাদে নিপেন্দ্র জানান, অবসরপ্রাপ্ত এডিসি শনবিলকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলার লক্ষ্যে কাজ করছেন।
তাই তিনি তাঁর কাছে এসেছেন।

উল্লেখ্য যে, এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহৎ জলাশয় এলাকায় প্রায় ৫০ হাজার পরিবার বসবাস করছে, যারা জীবিকা নির্বাহের জন্য মৎস্য চাষ এবং নৌকা চালনার উপর নির্ভরশীল। যোগাযোগের সু-ব্যবস্থা না থাকায় আয়ের উৎস থেকে বঞ্চিত এই এলাকার মানুষ।
সেদিন প্রত্যান্ত এলাকার সন্তান নিপেন্দ্র দাস বিশ্ব সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে নেওয়ায় দুল্লভছড়ায় সম্বর্ধনা জানানো হয়।