আলিপুরদুয়ার, ৩ সেপ্টেম্বর, শনিবার : পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগেই বড়সড় ধাক্কা খেল পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃনমূল। আলিপুরদুয়ারে দুই পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে।
এতে এই পঞ্চায়েতে বিজেপি সদস্যের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এবার অনাস্থা আনতে পারে বিজেপি।
শুক্রবার রাতে আলিপুরদুয়ার শালকুমার গ্রামপঞ্চায়েতের দুই সদস্য, গনেশ দাস ও যমুনা সরকার-সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিলেন বিজেপিতে।
বিজেপির জেলা সভাপতি ভূষন মোদক ও ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মনের উপস্থিতিতে হয় এই যোগদান পর্ব।
শালকুমার গ্রামপঞ্চায়েতে মোট সদস্য সংখ্যা ১৯, এর মধ্যে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা ছিল ১১ জন। একজনের মৃত্যু হয়েছে ও ২ জন যোগ দিলেন বিজেপিতে।
তার ফলে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা নেমে এসেছে ৮ জনে। এদিকে বিজেপির সদস্য সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১০ জন। ফলে বিজেপি শাসক দলের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা স্বাভাবিক।
এতে নিঃসন্দেহে ওই অঞ্চলে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের উপর চাপ বাড়ল।
তবে, চাপের কথা মানতে নারাজ শাসক দল। তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান মৃদুল গোস্বামীর দাবি এই যোগদানের ফলে তৃণমূলের ওপর কোনও চাপ বাড়বে না।
তবে কেন ওই সদস্যরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গেলেন, সে বিষয়ে না জেনে কোন মন্তব্য করতে চান না আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল নেতা।
তবে ফালাকাটার বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মণের দাবি, যে ভাবে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসছে, সে কারণেই তারা দলত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন।
তাঁর কথায়, চোরেদের দলে কেউ থাকতে চায় না? শাসক দলের তরফ থেকে এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে শাসানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন তিনি। কিন্তু তাতেও লাভ হবে না, যোগদান সবে শুরু হল পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আরও অনেকে তৃণমূল ছাড়বেন বলে দাবি করেন ফালাকাটার বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মণ।