দীপন দাস, কাটিগড়া, ৫ জানুয়ারি : আসাম সরকারের প্রশাসনিক সীমানা নির্ধারণের বলি হল কাটিগড়ার ১৭ টি রাজস্ব গ্রাম।
কাটিগড়ার এই ১৭ গ্রাম কে হাইলাকান্দি ও করিমগজেলায় অন্তর্ভূক্ত করে দেওয়া হয়েছে যা মেনে নিতে পারছেন না অন্তর্ভূক্তির শিকার হাজার কয়েক মানুষ।
সরকারী এই নির্দেশ সামনে আসতেই প্রতিবাদের ঝড় আছড়ে পড়ে কাটিগড়ায়। সময়ের সাথে সাথে প্রতিবাদ হচ্ছে তীব্রতর।
বুধবার কাটিগড়ার শান্তিপুরে হয়েছে প্রতিবাদী সভা। হাজার কয়েক ডিলিমিটেশনের শিকার লোক অংশ নেন সভায়। সভায় সরকারী এই সিদ্ধান্তকে হটকারী সিদ্ধান্ত আখ্যায়িত করে প্রতিবাদে গর্জে উঠেন হাজার হাজার মানুষ।
বৃহস্পতিবার পূর্ব কাটিগড়া ও দক্ষিন কাটিগড়ার কম করে ৫ হাজার মানুষ মিছিল করে এসে জমায়েত হন কাটিগড়া সার্কেল অফিসে।
তারা সার্কেল অফিসার মিনার্ভা দেবী মারফৎ গভর্নরের উদ্দিশ্যে স্মারকপত্র প্রদান করেন।
প্রতিবাদী জনতার পক্ষে প্রাক্তন বিধায়ক আতাউর রহমান মাঝারভুইয়া, ব্লক কংগ্রেস সভাপতি হুসেন আহমেদ চৌধুরী, জেলা কংগ্রেস সম্পাদক বিশ্বজিৎ মালাকার, অগপর জাহাঙ্গীর আলম লস্কর সহ অন্যান্যদের বক্তব্য রাখেন।
প্রত্যেকেই ক্ষমতাসীন সরকারের সমালোচনা করে বলেন, সম্পুর্ন অগনতান্ত্রিক ভাবে কাটিগড়ার ১৭ টি রাজস্ব গ্রামকে করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দি জেলার সাথে জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
এতে কাটিগড়ার এই গ্রাম গুলোর মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হবেন।
যেখানে আধ ঘন্ঠায় সার্কেল অফিস, থানা ইত্যাদিতে যাওয়া আসা সম্ভব হচ্ছে সেখানে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা সময় লাগবে করিমগঞ্জ বা হাইলাকান্দি জেলা সদরের সাথে যোগাযোগ করতে।
এতে যেমন সময় নষ্ট হবে ঠিক তেমনি গাঁঠের কড়ি ও খরচ হবে চার গুন। তাই সরকার অনতিবিলম্বে তার এই নির্দেশ প্রত্যাহার করুক অন্যথায় পরিস্থিতি ভিন্ন মোড় নেবে বলে হুশিয়ারী দেন তারা।