অনিমেষ চক্রবর্তী, বড়খলা, ১৪ জানুয়ারি : দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি বড়খলা বিধানসভা সমষ্টির মাছুঘাট জিপির চন্দ্রপুর গ্রামের মানুষের।
বর্ষা হউক কিংবা শুকনো হোক, গ্রামের মানুষের নেই কোন চলাচলের রাস্তা ঘাট।
শুকনোর মরশুমে জঙ্গলাকীর্ণ হাওর সদৃশ মাঠ দিয়ে বহু পথ হেঠে উঠতে হচ্ছে রেল সড়কে, মরণঝুকি নিয়ে রেলপথ দিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে স্কুল পড়ুয়াদের যেতে হয় গন্তব্যে।
শুকনোর মরশুমে বিশুদ্ধ পানীয় জল সংকট এলাকায় চরম আকার দেখা দেয়, গ্রামে দূ-একটি কুয়ো থাকলেও এসবও শুকিয়ে যাওয়ায় অপরিশোধিত জল পান করে জীবন বাচাতে হয়।
গ্রামোন্নয়নের নামে দু -একটি প্রকল্প বরাদ্দ হলেও চরম দূর্নীতির কারনে এগুলোও সঠিক বাস্তবায়ন হয়নি।
বৃহত্তর এলাকায় রাস্তা ঘাট না থাকায়,গর্ভবতী মহিলাকে চেয়ারে করে বসিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। এভাবে রাস্তায় অনেক গর্ভবতী মহিলাদের প্রাণ হারানোর ঘটনাও ঘটেছে।
এই এলাকার সার্বিক সমস্যা নিয়ে এবার জ্বলে উঠেছেন গ্রামবাসীরা।
জল জীবন মিশনের নামে বিভিন্ন প্রকল্পে সরকার অঢেল অর্থ বরাদ্দ করলেও এলাকাবাসী আজও বিশুদ্ধ পানিয় জল থেকে বঞ্চিত।
ভোট এলেই মূখ দেখিয়ে জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতারা বুঝিয়ে ফুসলিয়ে ভোট আদায় করে নেন এরপর তাদের আর টিকির নাগালও পাওয়া যায় না।
তাই আগামী নির্বাচনে ভোট বয়কটের মত কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়ে অপেক্ষায় আছেন তারা।
এলাকার নারী ও পুরুষ গণ আওয়াজ-এর কাছে তাদের দুঃখের কথা তুলে ধরে বলেন, চারদিকে খাল-বিল, মধ্যখানে একটি গ্ৰামে বাস করেছি আমরা।
সরকার জনগনের উন্নয়নের নামে ঢাকডোল পিটিয়ে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথা ঘোষণা করলেও আসলে পুরোটাই লুঠে খাচ্ছে তাদের চেলা চামুণ্ডা এবং জনপ্রতিনিধিরা। তাই শেষবারের তারা এব্যাপারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ড০ হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ও কাছাড়ের জেলা শাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন বলে জানান।