মোস্তাফা এ মজুমদার, হাইলাকান্দি, ২৭ জানুয়ারি : বৃহস্পতিবার ২৬ জানুয়ারি সমগ্ৰ দেশের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে হাইলাকান্দি জেলার পূর্বসোনাপুর খলিলিয়া মাদ্রাসায়ও যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হয়।
প্রথম অধিবেশনে এদিন সকাল ৮ ঘটিকায় ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির কর্মকর্তা এবং শিক্ষক সহ ছাত্ররা। ছাত্র, শিক্ষক এবং কমিটির কর্মকর্তারা সবাই মিলে জাতীয় সঙ্গীত পাঠ করেন।
এরপর মাদ্রাসার পেক্ষাগৃহে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মীরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয়।
প্রথমে মাদ্রাসা পড়ুয়াদের দেশাত্মবোধক কসিদা, জাতীয় সঙ্গীত সহ প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বক্তৃতা ইত্যাদি নানা প্রতিযোগিতা মূলক অনুষ্ঠান চলে।
পরে প্রজাতন্ত্র দিবসের তাৎপর্য নিয়ে প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখেন পূর্বসোনাপুর খলিলিয়া মাদ্রাসার সহসম্পাদক মাফতাব উদ্দিন মজুমদার, উপসভাপতি আব্দুল কালাম মজুমদার, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সামসুদ্দিন চৌধুরী ও মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মুফতী শামীম হোসেন চৌধুরী, বিষয় শিক্ষক বাহারুল ইসলাম লস্কর প্রমুখ।
প্রত্যেক বক্তাই প্রজাতন্ত্র দিবসের তাৎপর্য এবং ইংরেজদের হাত থেকে ভারতবর্ষ স্বাধীনতা লাভ করতে মুসলমানদের ভূমিকা তুলে ধরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন।
বক্তব্য রাখেন মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মীরা, তিনি বলেন ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ স্বাধীনতা লাভ করেছে।
স্বাধীনতা আন্দোলনে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজের প্রাণ বিসর্জন দিয়ে বৃটিশের হাত থেকে এই দেশকে স্বাধীন করেছেন। স্বাধীনতা আন্দোলনে মুসলমানদের ভূমিকা ছিল অতুলনীয়, প্রায় ৫৭ হাজার উলামায়ে কেরামগণ শ্বহীদ হয়েছিলেন।
স্বাধীনতা সংগ্ৰামীদেরকে বিভিন্ন স্থানে অত্যন্ত নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে যাহা ইতিহাসে লিপিবদ্ধ আছে। তাই এদেশের মুসলমানদেরকে কেউ দেশপ্রেমের শিক্ষা দিতে লাগবে না।
অসংখ্য মুসলমানরা স্বাধীনতা আন্দোলনে নিজের প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন।
তাছাড়া এধরনের বেসরকারী মাদ্রাসা কিংবা ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পূর্বে থেকেই ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস, ১৫ আগষ্ট স্বাধীনতা দিবস সহ এসব দিনগুলো পালিত হচ্ছে।
বর্তমানে সরকারি নির্দেশ মতে বেসরকারী মাদ্রাসার বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে পূর্ব সোনাপুর খলিলিয়া মাদ্রাসা।
এদিকে এধরনের বেসরকারী মাদ্রাসায় আরবি শিক্ষার পাশাপাশি যেহেতু ইংলিশ, বাংলা এবং বিজ্ঞানের শিক্ষা দেওয়া হয় তাই এসব বেসরকারী মাদ্রাসা রাজ্যের শিক্ষা বিভাগের আওতায় নেওয়ার দাবি জানান।
মাদ্রাসাগুলো রাজ্যের শিক্ষা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য অসম সরকারের কাছে জোরালো দাবি জানান মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মীরা।