উত্তর লখিমপুর : চারদিন ধরে ভারী বর্ষণে আসামের লখিমপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে পড়েছে।
জেলার দৈনিক বন্যা প্রতিবেদন অনুযায়ী চারটি রাজস্ব সার্কেলের ২২টি গ্রামের ২৩৫১৬ জন মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
লখিমপুর জেলার এই বন্যার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা নওবইচা রাজস্ব সার্কেল যেখানে এগারোটি গ্রামের ২২,৪৬৬ জন লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামগুলি হল ভরলুয়া, ১নং কালাহজোয়া, ২নং কালাখোয়া, হরিপুর ফুকন দালানি, সোলমোরিয়া, কোনারগাঁও, বালিটিকা, দীঘপুখুরি, বিষ্ণুপুর, দারাঙ্গিয়া, বোরচোলা, বালিজান, চামুয়া এবং পুতুকাই।
সোলমোরিয়ায় সিংড়া নদীর বাঁধ ভেঙ্গে গতিপথ পরিবর্তন করে নতুন দিকে প্রবাহিত হওয়ার ফলে এই অঞ্চলগুলিতে প্রবল প্লাবিত হয়।
নদীর তীরে বাঁশের খুঁটি ও নালা কেটে নদীর গতিপথকে তার মুল প্রবাহে ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে জেলার জলসম্পদ বিভাগ।
এদিকে, উত্তর লখিমপুরের তেলাহী দেব ব্লকের ঘানসারাইতে নদী বিপদসীমার উপরে উঠে যাওয়ায় গেরুয়ামুখে ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিকাল পাওয়ার কর্পোরেশন সুবানসিরি লোয়ার হাইড্রো ইলেকট্রিকাল পাওয়ার প্ল্যান্টের নিম্নপ্রবাহে বসবাসকারী লোকজনকে আতঙ্কিত করে তুলেছে।
সুবনসিরির ক্রমবর্ধমান জল চার দিন আগে এসএলএইচইপি বাঁধের পাওয়ার হাউস রক্ষাকারী অস্থায়ী ডাইকের ক্ষতি করেছে।
এটি এসএলএইচইপি-গেরুকামুখের পাওয়ার হাউসের অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি করেছে এবং যথেষ্ট ভূমিধসের সৃষ্টি করেছে।
একই সময়ে, নেপকো-র রঙ্গনদী বাঁধ থেকে জল ছাড়ার কারণে লখিমপুর বারবার বন্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
অরুণাচল প্রদেশের ইয়াজালিতে নেপকো কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই উত্তর লখিমপুরের জেলা কর্তৃপক্ষকে তার বাঁধের জল ছাড়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে।
ফলস্বরূপ, উত্তর লখিমপুরে রানাগনদীর জলস্তর উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং নদীর উভয় পাশের বাঁধের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে।