আসছেন আমেরিকা-চিন-বাংলাদেশ সহ কুড়িটিরও বেশি দেশের প্রতিনিধি
গুয়াহাটি, ৩১ জানুয়ারি : ভারতের জি-২০ অধ্যক্ষতার অঙ্গস্বরূপ প্রথম বহনক্ষম বিত্তীয় কর্ম গোষ্ঠী (এসএফডব্লিউজি) এবং যুব ২০ (ওয়াই২০) প্ৰারম্ভিক সভার প্ৰতিনিধিদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি সম্পূৰ্ণ করে ফেলেছে অসম।
‘বসুধৈব কুটুম্বকমে’র আদৰ্শে আয়োজিত এই জি২০-র মূল নীতি হল ‘একটি পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ।
‘প্রথম সভা গুয়াহাটির হোটেল রাডিসন ব্লুতে আগামী ২ ও ৩ ফ্ৰেব্ৰুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এই দুদিনের সভায় জি২০-র সদস্য রাষ্ট্ৰ, অতিথি রাষ্ট্ৰ এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ৯৪ জন প্ৰতিনিধির পাশাপাশি ভারত সরকারের আধিকারিকরাও অংশগ্ৰহণ করবেন।
প্ৰথম দিনের কাৰ্যসূচিতে রয়েছে যোগাভ্যাস এবং এসএফডব্লিউজির তিনটি অধিবেশন। প্ৰথম দিনের কাৰ্যসূচি রিভার ক্ৰুইজ, ‘রাত্ৰি ভোজ পর সম্বাদ’ এবং সাংস্কৃতিক কাৰ্যসূচির মাধ্যমে শেষ হবে।
যোগাভ্যাস, তিনটি পাৰ্শ্ব সভা এবং এসএফডব্লিউজির চতুৰ্থ অধিবেশনের মাধ্যমে দ্বিতীয় দিনের কাৰ্যসূচি ব্ৰহ্মপুত্ৰ হ্যারিটেজ সেন্টারে নৈশভোজের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
৭-৮ ফেব্ৰুয়ারি গুয়াহাটির হোটেল রাডিসন ব্লু এবং ভারতীয় প্ৰযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান (আইআইটি), গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠেয় যুব২০ (ওয়াই২০)-র প্ৰারম্ভিক সভায় ২৫০ জন প্ৰতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
এছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪০০ ছাত্ৰছাত্ৰী এই সভায় অংশগ্ৰহণ করবে। পাঁচটি আলোচ্য বিষয়ের ওপর সমগ্ৰ দেশজুড়ে ওয়াই২০ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে এবং অসমেই এর প্ৰথম বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।
গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠেয় এই বৈঠকের পর দেশের অন্যান্য স্থানেও এরকম বৈঠক হবে এবং আগস্ট মাসে শীৰ্ষ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ওয়াই২০-র সমাপ্তি ঘটবে।
এই বৈঠকের মূল বিষয়বস্তু হল শান্তি স্থাপন ও বোঝাপড়া, কৰ্মোদ্যোগের ভবিষ্যৎ, জলবায়ু পরিবৰ্তন এবং দু্র্যোগের আশঙ্কা হ্রাস, গণতন্ত্ৰ ও প্ৰশাসনে যুবশক্তি এবং সুস্বাস্থ্য ও ক্ৰীড়া।
ইতিমধ্যেই ডিজিটাল ওয়াল পেইন্টিং, জি২০ বিষয়ক সুসজ্জিত তোরণ, জি২০ সদস্য রাষ্ট্ৰসমূহের পতাকা, এলইডি কাট-আউট, হোর্ডিং ইত্যাদি দিয়ে গুয়াহাটি মহানগরের সৌন্দৰ্যবৰ্ধনের পাশাপাশি ব্যাপকভাবে প্ৰচারেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, জি ২০-র প্ৰতিনিধিদের জন্য কাজিরঙা জাতীয় উদ্যান, পবিতরা অভয়ারণ্য, গড়ভাঙা সংরক্ষিত বনাঞ্চল, ব্রহ্মপুত্র নদীদ্বীপ এবং ব্ৰহ্মপুত্ৰ হ্যারিটেজ সেন্টার ইত্যাদি জৈব বৈচিত্ৰপূৰ্ণ এবং ঐতিহ্যমণ্ডিত স্থানসমূহ ভ্ৰমণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে নানা দেশ থেকে আগত অতিথিদের অ়ভ্যর্থনায় কোনো খমতি রাখতে চাইছে না হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সরকার।