মুখ্যমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে কেন টেনে আনল বিরোধী রাজনৈতিক দল?
গুয়াহাটি, ৩১ জানুয়ারি : প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি গৌতম আদানির কোম্পানির বিশাল আর্থিক অনিয়মের খবরে দেশ-বিদেশের অর্থনৈতিক পরিমণ্ডলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
বাজারেও দেখা যাচ্ছে বড় উলটফের, শেয়ারের দাম পড়ছে হু হু করে। এমন পরিস্থিতিতে অসমের বিনিয়োগকারীদের সম্পদ কতটা সুরক্ষিত রয়েছে? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
দেশের প্রথমসারির শিল্পপতি গৌতম আদানির কোম্পানির বড়মাপের আর্থিক অনিয়মের খবর প্রকাশ্যে আসতেই অসমের গ্ৰাহক আদানির ঋণ নেওয়া স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক এবং এলআইসি ইত্যাদি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক বা বিত্তীয় প্ৰতিষ্ঠান বিনিয়োগ করেছিল তারা গভীর উদ্বিগ্ন৷
কেন না আদানি ঋণ নেওয়া প্ৰতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার হু হু করে নামছে। এতে লাখ লাখ গ্ৰাহকও লোকসানের মুখে পড়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে অসমের বিনিয়োগকারীদের টাকা নিরাপদ রাখার বিষয়টি রাজ্য সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে বলে দাবি উঠেছে।
অসম জাতীয় পরিষদের সভাপতি লুরিনজ্যোতি গগৈ এবং সাধারণ সম্পাদক জগদীশ ভূঞা আজ এক প্ৰেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ইতিপূৰ্বে নীরব মোদী, মেহুল চোকসি সহ গুজরাটের ৩৭ জন ব্যবসায়ী এক লক্ষ কোটিরও বেশি টাকা ঋণ নিয়ে ভারত থেকে পলায়ন করেছে৷
এবার প্ৰধানমন্ত্ৰী মোদীর আশিসধন্য শিল্পপতি গৌতম আদানির কোম্পানি বড় মাপের আর্থিক অনিয়ম করে বিনিয়োগকারীদের টাকা নিজের বলে দেখিয়ে সেই টাকা ‘মৰ্টগেজ’ রেখে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক, এলআইসি ইত্যাদি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক তথা বিত্তীয় প্ৰতিষ্ঠান থেকে প্ৰায় ৮ লাখ কোটি টাকার ঋণ নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলিকে বিপদে ফেলে দিয়েছে৷
এজেপির দুই শীর্ষনেতা আরও বলেন, নাগরিকদের আৰ্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব যেহেতু মূলত রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারে তাই আদানি-কাণ্ডের ফলে এসবিআই, পিএনবি, এলআইসি ইত্যাদি রাষ্ট্রায়ত্ত খণ্ডে টাকা বিনিয়োগকারীদের সম্পদ সুরক্ষিত থাকবে কি না তা অবগত করার দায়িত্ব রাজ্য সরকারেরই নেওয়া উচিত৷
এ ক্ষেত্ৰে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-বিত্তীয় প্ৰতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে কথা বলে মুখ্যমন্ত্রীকে সরকারের স্থিতি স্পষ্ট করার দাবি জানিয়েছেন এজেপি নেতৃত্ব।