সুপ্রিয় পাল, দুল্লভছড়া, ৩ ফেব্রুয়ারি : রাতের অন্ধকারে করিমগঞ্জের দুল্লভছড়া চামটিলায় সিংলানদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধ কাজ করছেন টিকাদার। এর আগে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল।
এখন সকলের অলক্ষ্যেই রাতের অন্ধকারে চলছে সিংলানদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধ কাজ। বিভাগীয় পক্ষ থেকে কি ভাবে? এবং কেন? যে রাতের অন্ধকারে কাজের অনুমতি দেওয়া হল এনিয়ে জল্পনার শেষ নেই।
প্রশ্ন উঠছে রাতাবাড়ির বিধায়ক বিজয় মালাকারের নিরব ভুমিকা নিয়েও।
তা হলে কি বিধায়কও এই অবাধ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত?
উল্লেখ্য যে, চামটিলা এবং মাগুরাছড়ায় দুটি স্থানে নদী বাঁধের কাজ চলছে। এই বাঁধের উপর নির্ভর করছে বৃহত্তর এলাকার বসবাসকারী মানুষের ভবিষ্যৎ।
বাঁধের কাজ যদি ঠিকটাক না হয়, তবে বর্ষার সময় জলে শত শত মানুষের বসতবাড়ি সহ গবাদি পশু বাসিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
এদিকে গত ৩০ জানুয়ারি রাতে চামটিলার বাঁধের কাছাকাছি থেকে কতিপয় ব্যক্তি সিংলা নদী থেকে জেসিবি দিয়ে বালি জমায়েত করে রাখলে বন বিভাগের দুল্লভছড়া ফরেস্ট বীটের কর্মীদের তৎপরতায় তারা পালাতে বাধ্য হয়।
দুল্লভছড়ার মাগুরাছড়ায় সরকারি ভাবে সিংলা ব্লক ইউনিট-এ নামে একটি মহালের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে একটি সুত্রে জানা যায়।
কিন্তু বাঁধ নির্মানের কাজে নিয়োজিত টিকাদার এখানে মহাল থাকা সত্বেও রাতাবাড়ি বিধান সভার বরুয়ালা মহাল থেকে বালি সংগ্রহ করার অভিযোগ উঠেছে।
কাজের স্থানে বালি রেখে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দুরত্ব বালি সংগ্রহের পেছনে রহস্যের গন্ধ বের হচ্ছে।
স্থানীয় জনগণের অভিযোগ সরকারি কর ফাঁকি দেওয়ার মতলবে ঠিকাদার এই পথ বেছে নিয়েছেন। স্থানীয় জনগণ গণ আওয়াজ-এর এই প্রতিবেদকের সাথে কথা বলতে গিয়ে জানান, রাতাবাড়ির বিধায়ক বিজয় মালাকার করিমগঞ্জ মেদিক্যাল কলেজ রাতাবাড়ির মানুষের মনের ভিতরে প্রবেশ করতে পেরেছেন, কিন্তু সমষ্টির ভেতরে এসব দুর্নীতি চলতে থাকলে তার দারভার বিধায়ককেই নিতে হবে।