জুলি দাস
করিমগঞ্জ, ১৫ ফেব্রুয়ারি : মাত্র ছয়মাসের মাথায় করিমগঞ্জ জেলা যুবমোর্চার সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বিশ্বরূপ ভট্টাচার্যকে।
আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি সংগঠিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রদেশ যুব মোর্চার সভাপতি সিদ্ধান্ত অংকুর বড়ুয়া এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বুধবার এক দলীয় নির্দেশে (নং : বিজেপিএপি/বিজেওয়াইএম/এবি/২০২১-২৩/এল-৭৯) স্বাক্ষর করেছেন প্রদেশ যুব মোর্চা সভাপতি।
এদিন রাতেই করিমগঞ্জে এসে পৌঁছেছে প্রদেশ যুব মোর্চার স্বাক্ষরিত নির্দেশপত্র।
রাতাবাড়ির বাসিন্দা বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ছিলেন। তিনি আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন।
সম্প্রতি অমিত পাল জেলা যুব মোর্চার সভাপতির পদ ত্যাগ করার পরই এই পদে বিশ্বরূপ ভট্টাচার্যকে বসানো হয়।
রাতাবাড়ির বিধায়ক বিজয় মালাকারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ থাকার সুবাদে সহঝে জেলা যুব মোর্চার সভাপতির চেয়ারে বসেন তিনি।
সম্প্রতি আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অপ্রীতিকর ঘটনার সঙ্গে বিশ্বরূপ ভট্টাচার্যের নাম জড়িয়ে পড়ে, এ নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়।
তাকে যুব মোর্চার সভাপতি থেকে সরানোর দাবি উঠে, গ্রেফতারেরও দাবি জানানো হয়। পরিস্থিতি অনুকূল নয় বুঝতে পেরে শেষমেষ থানায় আত্মসমর্পণ করেন বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য, যথারীতি জামিন পান তিনি।
এদিকে, করিমগঞ্জ জেলা যুব মোর্চার সভাপতির নাম আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অপ্রীতিকর ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়ে বিজেপি।
জেলা যুবমোর্চার সভাপতি পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার পত্রে প্রদেশ সভাপতি উল্লেখ করেছেন, জেলা সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকেও বিভিন্ন সময় দলীয় অনুশাসন ভঙ্গ করেছেন বিশ্বরূপ। আপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে লিপ্ত থাকার বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়েছে। এতে জনমানসে দলীয় ভাবমূর্তি বিনষ্ট হয়েছে এবং এটা দলের সংবিধান বিরোধী।
পত্রের প্রতিলিপি বিজেপির রাজ্যিক সভাপতি, সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক, বিজেপি জেলা সভাপতি, সহ অন্যান্যদের দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে নিজেদের সরিয়ে রাখছেন স্থানীয় বিজেপি নেতারা। অনেকেই এটাকে পুরনো ঘটনা বলে এড়িয়ে গেছেন।
বিজেপি জেলা সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্যের মতামত জানতে চাওয়া হলে তিনি এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক সমন্বয়ক কৃষ্ণেন্দু পাল এবং এএসটিসির চেয়ারম্যান মিশনরঞ্জন দাসও।