শিলচর, ১০ সেপ্টেম্বর : একের পর এক ঘুসখোরকে পাকড়াও করছে রাজ্যের ভিজিল্যান্স ও অ্যান্টি করাপশন সেল। গত ৪৫ দিনে প্রায় ২২ জন সরকারি কর্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তারমধ্যে পুলিশ কর্মীও রয়েছেন। সরকারি কর্মচারীরা এ যেন দুর্নীতির পদক জয়ের মহড়া চালিয়ে যাচ্ছেন।
আজ শনিবার তামুলপুর থেকে আইন রক্ষার শপথ নেওয়া মোটা মাইনের আরও পুলিশ কর্মিকে ঘুস নেওয়ার অভিযোগে হাতেনাতে গ্রেফতার করলো রাজ্যের ভিজিল্যান্স ও অ্যান্টি করাপশন সেল।
যানবাহন সংক্রান্ত একটি মামলার সুরাহা করে দেবার বিনিময়ে এক ব্যক্তির কাছে উৎকোচ দাবি করেছিলেন তামুলপুর জেলার দরঙ্গা আউটপোস্টের এক এএসআই। তাঁর নাম গোপাল দোলে।
উৎকোচ দাবির অভিযোগ পেয়ে মাঠে নামে ভিজিল্যান্স ও অ্যান্টি করাপশন সেল। আর দুর্নীতি দমন শাখার সেই ফাঁদে ধরা পড়েন অসাধু ওই পুলিশকর্তা।
ঘুস নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে এখন তিনি নিজেই হাজতে। টুইট করে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রাজ্যের ডিজিপি (স্পেশাল) জি পি সিং।
তারপরি রাজ্যে একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, যাদেরকে ঘুস নেওয়ার অভিযোগে হাতেনাতে পাকড়াও করা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে?
ঘুসের টাকায় নামে বেনামে যেসব সম্পত্তি ওরা বানিয়েছে সেগুলো বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে কি? চাকরি থেকে সাস্থিমুলক অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে?
এদের বিরুদ্ধে যদি কঠোর কোন পদক্ষেপ না নিয়ে যদি আইনের ফাক করে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয় তবেতো এই মহড়া দিন দিন বেড়েই চলবে।
যা সাধারণ জনগণ হাড়ে হাড়ে অনুভব করছেন। ২০১৯ শের ২৮ মার্চ শিলচর নির্বাচনী কার্যালয়ের কর্মচারী অতসী দত্ত তরফদারকে সেই সময় গোটা রাজ্যের জনসাধারণের মধ্যে স্বস্তির ভাব পরিলক্ষিত হয়েছিল।
বরাক উপত্যকার প্রতিটি সরকারি দপ্তরের ঘুসখোর কর্মচারীদের মধ্যে ভয়ের ভাব তৈরি হয়েছিল। কিন্তু অতসী কোর্টের অর্ডার নিয়ে চাকরিতে পুনর্বহাল হওয়ার পর বরাক উপত্যকার সরকারি অফিস গুলোতে ঘুস বাণিজ্য কয়েক ‘শ’ গুন বেড়ে গেছে।
প্রতিটি ঘুসখোর কর্মীদের মনে ঘুস খেলে কি আর হবে, চাকরি তো যাবে না সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত হবে না। কয়েকদিন পরে আবার পুনর্বহাল হয়ে যাব।
সাধারণ মানুষও দেখছেন ধরে দিয়েও যেখানে সরকারের প্রশাসন কোন কঠোর ব্যাবস্থা নিচ্ছে না সেখানে অযতা জামেলায় জড়িয়ে লাভ কি। ঘুসের প্রবনতা আগের চেয়ে আরও যে বৃদ্ধি পেয়েছে তা একের পর এক ঘটনা থেকেই প্রমান হচ্ছে।