শিলচর, ১৪ সেপ্টেম্বর, বুধবার : রাজ্যসরকারের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির নিয়োগ নিয়ে একের পর এক দুর্নিতির অভিযোগ প্রকাশ্যে আস্তেই রাজ্য জোড়ে তুলফার শুরু হয়ে গেছে।
অভিযোগ উঠছে ভিক্টর দাসকে গ্রেফতার করে প্রতিবাদি কণ্ঠ রোধ করারও। এরই মধ্যে জুড়িয়ার আমিনুল হক নামে এক চাকরি বাণিজ্যের আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য ফেসবুকে পোস্ট করার পর সরকারের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আমিনুল হক নামের ওই যুবক তাঁর ফেসবুক পোস্টে কি অভিযোগ এনেছে, যে অভিযোগে তুলপাড় রাজ্যে বাড়তি ইন্ধন দিয়েছে? আমিনুল ফেইসবুক পোস্টে লিখেছে তার পরীক্ষাকেন্দ্রের এক যুবক ফাকা ওএমআর শিট জমা দিয়েছে।
কিন্তু নিয়োগ পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে ওএমআর শিট জমা দেওয়া ওই যুবক সরকারি চাকরি পেয়েছেন। উল্লেখ্য, গত সোমবার স্বাস্থ্য দফতরের একটি নিয়োগ পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার।
স্বাস্থ্য দপ্তর গত বছরের মার্চ মাসে ১৮৮টি পদে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়। আমিনুল হকও লখিমপুর মেডিকেল কলেজের জন্য অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।
আমিনুল অভিযোগ করে, তার সামনে বসা পরীক্ষার্থী ফাকা ওএমআর শিট জমা দিয়েছে, কিন্তু সোমবার এই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর দেখতে পায় ওএমআর শিট খালি জমা দেওয়া প্রার্থীর নাম রয়েছে।
আমিনুল তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন ২০২২ সালের ১৩ মার্চ পরীক্ষা দেওয়ার পর ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি তিনি উল্লেখ করেছিলেন। ওই পোস্টের পর নিয়োগ কেলেঙ্কারির অভিযোগ করে আবার ফেসবুকে আমিনুল আবার পোস্ট লেখেন।
তাঁর পোস্টে লেখেন আজকে বুঝতে পারছি সরকারি চাকরির নামে কাকে দুর্নীতি বলা হয়।
আমিনুল যে পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিট খালি জমা দিয়ে চাকরির প্রকাশিত তালিকায় নাম থাকার অভিযোগ এনে ফেইসবুক পোস্ট করেছেন ওই পরীক্ষার্থীর রোল নং 12690042। কিন্তু নাম ভুলে গেছেন বলে উল্লেখ করেন।
আমিনুল ওইদিনের সেখানকার ফটো চেকারে ওই ব্যক্তির লাইভ ভিডিওর পাশাপাশি ফটো আধার কার্ডের ছবিও রয়েছে বলেও দাবি করেছে। পরীক্ষার হল থেকে সেদিন রোল নম্বর লিখে আনেন বলে দাবি করেন আমিনুল।