গৌহাটি, ১৪ সেপ্টেম্বর : আসামে দশ বছরে ১১৪ জন জিহাদীকে আটক করা হয়েছে। রাজ্য বিধানসভা অধিবেশনে কংগ্রেস বিধায়ক শেরমান আলি আহমেদের করা প্রশ্নের লিখিত জবাব দেওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এই তথ্য দেন।
এর মধ্যে ৬৫ জন হল হিজবুল মুজাহিদিন (এইচএম) এবং ৯ জন জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশের সদস্য। মুখ্যমন্ত্রী একটি সন্ত্রাসি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে হয়েছে বলেও জানিয়েছেন।
বিজেপি বিধায়ক তেরাশ গাওয়ালার পৃথক একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বলেন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) ৪০ জন সদস্যও রয়েছে। তাদেরকে এ বছরেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
তাঁর মধ্যে ২৩ জন জিহাদির মামলা তদন্তের জন্য জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)-র কাছে পাঠানো হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী ডঃ হিমন্ত বিশ্বশর্মার দেওয়া রিপোর্ট অনুসারে গ্রেফতার অন্য ৯১ জিহাদির মধ্যে ৫৪ জিহাদির মামলার এখনও তদন্ত চলছে এবং ৩৭ জিহাদির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। বর্তমানে আদালতের অধিনে রয়েছে।
বিরোধী দলের নেতা দেবব্রত সাইকিয়া ভিন্ন এক প্রশ্নের উত্তরে ডঃ শর্মা জানান, ২০১৬ সালে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার রাজ্যে ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে ৮৪ জনকে জিহাদি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
তার মতে, আগের ছয় বছরে আটক ব্যক্তিদের মধ্যে দশজন, মাদ্রাসার এবং মসজিদের সাথে যুক্ত ছিল, বিভিন্ন ধর্মীয় সমাবেশে বক্তৃতার মাধ্যমে মানুষকে জিহাদির প্ররোচনা দিয়েছিল।
জিহাদ সম্পর্কে পুস্তক বিতরণ করেছে এবং ওমেমো ও ব্লাব্বার, দুটি চ্যাট অ্যাপের মাধ্যমে একে অপরের সাথে কথাও বলেছে।
বারপেটা, বোঙ্গাইগাঁও, মরিগাঁও, ধুবরি এবং গোয়ালপাড়া জেলাগুলিকে রাজ্যের জিহাদি কার্যকলাপের কেন্দ্র হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
আসামে জিহাদি কার্যকলাপ বিদেশী নাগরিক বিশেষ করে বাংলাদেশিদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। তবে ৪০ জনের মধ্যে দুজন মহিলাও রয়েছেন। একজন মরিগাঁও এবং অন্যজন ধুবরি জেলার।
জিহাদির সংজ্ঞা দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, একজন জিহাদি একটি মৌলবাদী দলের সদস্য যারা সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করার জন্য সহিংসতা ব্যবহার করে। মুসলিম মৌলবাদী সংগঠনগুলো বুঝানো হচ্ছে মুসলমানদের যারা শত্রু বলে বিবেচিত হয় তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালায় কাজকে বোঝানো হয়েছে বিরুদ্ধে ।