জুলি দাস
করিমগঞ্জ, ২৫ সেপ্টেম্বর : মহালয়ার সকালে লোকে লোকারণ্য হল করিমগঞ্জ শহর। লংগাই সেতু এবং বিসর্জনঘাট সংলগ্ন কালীবাড়ি রোডে অনেক ভিড় ছিল।
অন্যদিকে, করিমগঞ্জে প্রথমবারের মতো এদিন আগমনী শোভাযাত্রা বের করে করিমগঞ্জ পুরসভা। হাতি, ট্যাবলো, দুর্গা প্রতিমা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল।
করিমগঞ্জ পুরসভা কার্যালয়ের সামনে থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক পরিক্রমা করে ফের এসে সমাপ্ত হয় পুর কার্যালয়ের সামনে। শোভাযাত্রায় বাংলা লোকাচারও শোভা পায়।
এদিন ভোর ছয়টার কিছু পর পুরসভা কার্যালয়ের সম্মুখ থেকে যাত্রার সূচনা হয়। শোভাযাত্রায় বিভিন্ন সংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে নাচ, গান ইত্যাদি পরিবেশন করা হয়। একদিকে যেমন জীবন্ত দুর্গা, অন্যদিকে মাটির প্রতিমা সুসজ্জিত ট্যাবলোতে ছিল।
শোভাযাত্রার শুরুতে হাতি, তারপর দুর্গা প্রতিমা, ঢাক বাহিনী, এরপর বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধির পাশাপাশি শোভাযাত্রায় সামিল হয়েছিলেন এএসটিসির চেয়ারম্যান মিশনরঞ্জন দাস, জেলাশাসক মৃদুল যাদব, পুরপতি রবীন্দ্রচন্দ্র দেব উপ-পুরপতি সুখেন্দু দাস, করিমগঞ্জ কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডo রাধিকারঞ্জন চক্রবর্তী, প্রাক্তন অধ্যাপক তথা প্রাক্তন বিধায়ক ড. সুখেন্দুশেখর দত্ত, শিক্ষাবিদ রমেন্দ্র ভট্টাচার্য প্রমুখ।
শহর পরিক্রমা শেষে পুরপতি রবীন্দ্র দেব সাংবাদিকদের বলেন, প্রথমবারের মতো পুরসভার উদ্যোগে মহালয়ার পুণ্য লগ্নে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য মানুষের মধ্যে ভ্রাতৃত্বভাব জাগিয়ে তোলা।
আজকের শোভায়াত্রায় প্রচুর লোকসমাগম হয়। উপ-পুরপতি সুখেন্দু দাস বলেন, মহালয়ার পর এবার পুজো কমিটিকে নিয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা হাতে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, এদিন ভোরে করিমগঞ্জ বিসর্জনঘাটে কয়েকশো লোককে তর্পণ করতে দেখা যায়। তর্পণ করতে গিয়ে যাতে কোন অঘটন না হয় তারজন্য কুশিয়ারা নদীতে এসডিআরএফ বাহিনী নৌকা নিয়ে সচেষ্ট ছিল।
লংগাই রোড লঙ্গাই সেতুর নিচেও তর্পন করার দৃশ্য দেখা গেছে। এদিন মহালয়া উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে জনগণের মধ্যে পানীয় জল এবং চা বিতরণ করা হয়। অন্যদিকে, ঢাক নিয়ে এদিন পৃথক শোভাযাত্রা বের করে কয়েকটি কালীপূজা কমিটি। এছাড়া শহরে হরেকৃষ্ণ সংকীর্তন বের করেন করিমগঞ্জ ইসকনের কয়েকজন শুভাকাঙ্ক্ষী।