অনলাইন, ডেক্স, ১৫ অক্টোবর : আজ ভারতের ‘মিসাইল ম্যান ‘ড০ এপিজে আব্দুল কালাম আজাদের জন্মদিন। প্রয়াত মহাকাশ বিজ্ঞানী শিক্ষক ও দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ড০ এ.পি.জে. আব্দুল কালামের জন্মবার্ষিকী বিশ্ব ছাত্র দিবস হিসেবে পালিত হয়।
তিনি তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে একটি তামিল মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং পদার্থবিদ্যা, মহাকাশ প্রকৌশল অধ্যয়ন করেন। আব্দুল কালামের পিতা জয়নাল আবেদীন ছিলেন নৌকার মালিক এবং স্থানীয় মসজিদের ইমাম। তাঁর মা আচিয়াম্মা ছিলেন একজন গৃহিণী।
ছাত্র ও শিক্ষার জন্য কালামের প্রচেষ্টাকে সম্মান জানাতে প্রতি বছর ভারতে বিশ্ব ছাত্র দিবস পালিত হয়। কালামকে ‘জনগণের রাষ্ট্রপতি’ হিসেবে স্মরণ করা হয় এবং তার জন্মদিনকে ছাত্র দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
ভারতে পারমাণবিক শক্তিতে জড়িত থাকার কারণে তিনি “ভারতের মিসাইল ম্যান” উপাধি অর্জন করেছিলেন। তার অবদানের জন্য, ভারত সরকার তাকে সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কারে ভূষিত করেছে।
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ‘মিসাইল ম্যান’ ডঃ এপিজে আব্দুল কালাম আজাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা, অর্জন এবং শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা এখনো স্মরণীয়।
তাঁর অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ বক্তৃতা এবং শিক্ষাদানে নিবেদন শিক্ষার্থীদেরকে একটি বড় উপায়ে নিজেদের সেরা সংস্করণ হতে অনুপ্রাণিত করেছিল। তিনি বিশ্বাস করতেন যে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত এবং প্রগতিশীল মন আমাদের দেশকে প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফল্যের নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
একজন শিক্ষকের ভূমিকায় তিনি নিজেকে সবচেয়ে নিবেদিত প্রাণভাবে চিহ্নিত করেছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে শিক্ষকরা সমাজের নির্মাতা। কারণ, শিক্ষকরা তাদের নিজ নিজ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য এই বিশ্বাস অর্জন করেন।
কালাম তার সমগ্র জীবন শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের কল্যাণে উৎসর্গ করেছিলেন। তিনি একটি ছোট হোভারক্রাফ্ট ডিজাইন করে ডিআরডিওতে তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন।
তিনি একজন মহাকাশ বিজ্ঞানী ছিলেন এবং পোখরান-২ পারমাণবিক পরীক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাই তিনি বিভিন্ন সময়ে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ভারতরত্ন সহ বিভিন্ন মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারে ভূষিত হন। দেশ সব সময় তাঁকে স্মরণে রাখবে।