সুপ্রিয় পাল, দুল্লভছড়া, ২মার্চ : বর্তমান সরকার যোগাযোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করাতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সর্বস্তরের জনগণ সমতালে উপকৃত হচ্ছেন।
বরাক উপত্যকার রেল সেবাকে আরও প্রাধান্য দিতে করিমগঞ্জের সাংসদ কৃপানাথ মালা রেল বিভাগের জি এম-কে চার দফা দাবি নিয়ে চিঠি লিখেছেন।
সাংসদ কৃপানাথ মালা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, বরাক উপত্যকার তিনটি জেলায় রেল বিভাগের বিপুল পরিমাণ আয়ের উৎস রয়েছে।
কারণ বরাক উপত্যকার তিন জেলায় যাত্রীর সংখ্যা অধিক হওয়ার ফলে বতর্মানে ঢলতে থাকা এক্সপ্রেস থেকে যাত্রীদেরকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে।
এতে রেল বিভাগও আয়ের উৎস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সাংসদ করিমগঞ্জের মহিশাসন ও সুতারকান্দি রেল স্টেশনটি উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ সিমান্তে হওয়ায় এই স্টেশন আন্তর্জাতিক মর্যাদা লাভ করতে পারে।
এখান থেকে বিদেশি যাত্রীরাও বর্হিরাজ্যে যাতায়াত করার সুবিধা পেলে স্থানীয় জনগণ সহ রেল বিভাগ উপকৃত হবে জানান সাংসদ মালা।
এছাড়া উপত্যকার রেল পরিসেবা উন্নত মানের হলে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শনবিলের মনোহর দৃশ্য উপভোগ করতে বিদেশী পর্যটকরাও এখানে আসার সম্ভাবনার কথা জানান সাংসদ কৃপানাথ।
তিনি বলেন, ফাকুয়া রেলস্টেশন থেকে শনবিলের দূরত্ব মাত্র এক কিলোমিটার, রেল পরিসেবা উন্নত মানের হলে পর্যটকদের এখানে আসতে কোন অসুবিদা নেই।
তাই ফাকুয়া স্টেশনটি আপগ্রেড করার দাবি জানিয়ে মালা বলেন, বিদেশি পর্যটকরা এখানে ভ্রমনে আসলে স্থানীয় নাগরিকরাও আর্থিক দিক থেকে সচ্ছল হতে পারবেন।
বিশেষ করে বর্তমানে যারা মৎস্য চাষ ও কৃষিকার্যের উপর নির্ভরশীল তারা অনেকটাই লাভবান হবেন এবং রেল বিভাগ অনেক বেশি পরিমাণে রাজস্ব সংগ্রহ করতে পারবে।
উল্লেখ্য যে, চতুর্থ পাকুয়া রেল লাইনের দুই পাশে প্রায় ৪০ হাজার জনসাধারণ বসবাস করছে।
কিন্তু উক্ত লাইনের কারণে দুই পাশের জনসাধারণ যোগাযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ায় এলাকার ছাত্রছাত্রী, ব্যবসায়ী, গাড়ি চালক, পুলিশ প্রশাসন, মেডিকেল টিম, অগ্নি নির্বাপক কর্মী, এলাকাবাসীদের সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদেরকে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
তাই বরাক উপত্যকার তিন জেলার জলন্ত সমস্যা সমাধানে রেল বিভাগের জেনারেল ম্যানেজারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন করিমগঞ্জের সাংসদ কৃপানাথ মালা। এদিকে অবসরপ্রাপ্ত এডিসি নীলমণি দাস বরাক উপত্যকার জলন্ত সমস্যা নিয়ে, সাংসদ কৃপানাথ মালা ও রাজদ্বীপ রায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।