দুইশত বছরের পরম্পরা ভেঙ্গে উদ্বোধন হল একদিন পর!
কাটিগড়া, ২০ মার্চ : মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশীর শতভীষা নক্ষত্রে বারুণী স্নান এবং তর্পণ করলে পূর্বপুরুষের মুক্তি লাভ হয় এই বিশ্বাস ও আস্থা নিয়ে সিদ্ধেশ্বর কপিলাশ্রম ঘাটে বরাক নদীতে লক্ষ লক্ষ সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষ পূণ্য স্নান করেন।
বরাক উপত্যকা সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের লক্ষ লক্ষ সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষ প্রতি বছর সিদ্ধেশ্বর কপিলাশ্রম ঘাটে বরাক নদীতে পূণ্য স্নান করতে আসেন।
এই স্নানকে কেন্দ্র করে বরাক নদীর উত্তর তীরে বসে সিদ্ধেশ্বর বারুণী মেলা।
প্রথাগত বাবে প্রতি বছর মেলা কমিটি পূন্যর্থী মহিলাদের সুবিধার্থে তৈরী করে স্নানাগার সহ বিশ্রামাগার এবং নদীতে যাওয়ার পথ তৈরী করে দেয়।
এছাড়া সিদ্ধেশ্বর বারুণী মেলা যেহেতু একটি সরকারী মেলা, তাই যথারীতি মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশীর দিনে এই মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কোন না কোন প্রশাসনিক কর্মকর্তা।
কিন্তু এ বছর দেখা গেলো তার বিপরীত প্রতিছবি। মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশীর পর দিন অর্থাত সোমবার আনুষ্ঠানিক ভাবে মেলার সূচনা করেন কাটিগড়ার সিও মিনার্ভা দেবী আরাম্বাম।
উপস্থিত ছিলেন মেলা পরিচালন কমিটির ভারপ্রাপ্ত সচিব সন্দীপ পাল, প্রাক্তন বিধায়ক অমরচাঁদ জৈন, নবেন্দু শেখর নাথ, সজল দেব, কাতিরাইল জিপি সভানেত্রীর প্রতিনিধি সুব্রত ভট্টাচার্য্য, প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য বিশ্বজিৎ মালাকার, স্বপন দেব সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত আজ থেকে এক মাস ব্যাপী এই মেলা চলবে। পরে বারুণী মেলা পরিচালন কমিটি এক জরুরি বৈঠকে মিলিত হয়।
রবিবার বারুণী স্নান নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার এই জরুরি বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এসব নিয়ে আলোচনা করেন কর্মকর্তারা।
পরে সংবাদ মাধ্যমে জরুরি বৈঠকে কি কি আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এনিয়ে বিশদ তুলে ধরেন প্রাক্তন বিধায়ক অমরচাঁদ জৈন।