গুয়াহাটি, ২৪ মার্চ : আরএসএস-এর সহযোগী আসামের আদিবাসীদের সংগঠন ধর্মীয় জনজাতি ধর্ম সংস্কৃতি সুরক্ষা মঞ্চের এক লাখ আদিবাসী ধর্মান্তরের বিরুদ্ধে ২৬ মার্চ দিসপুরে ঝড় তোলার সম্ভাবনা রয়েছে৷
আরএসএস অনুষঙ্গী জেডিএসএসএম ধর্মান্তরিত হওয়া আসামের উপজাতিদের তালিকার দাবি করছে। জেডিএসএসএম ভারতের সংবিধানের 342A ধারা সংশোধনেরও দাবি জানিয়েছে।
স্বাধীনতার আগে থেকেই ধর্মান্তরকরণ ভারতের এসটি জনগোষ্ঠীর জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জেডিএসএসএম দাবী কোড়েছে।
সংগঠনের নেতা বিনুদ কুম্বাং বলেন, আসামের আদিবাসীদের অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত করা নতুন ঘটনা নয়, তবে গত কয়েক দশকে এই হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এসটি জনগণ ভারতে ধর্মান্তরের সবচেয়ে সহজ শিকার এবং প্রধানত অত্যন্ত সাম্প্রদায়িক ধর্মতান্ত্রিক বিদেশী ধর্মীয় গোষ্ঠীর লক্ষ্যবস্তু।
বিনুদ কুম্বাং বলেছেন যে ধর্মান্তরের কারণেই উত্তর-পূর্ব ভারতে খ্রিস্টান ঘনত্বের একটি প্রধান অঞ্চল হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে।
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে ভারতে গণনা করা ২.৭৮ কোটি খ্রিস্টানদের মধ্যে ৭৮ লাখই আসাম সহ এই অঞ্চলের।
মেঘালয়ে খ্রিস্টানদের সংখ্যা দশকের পর দশক দৃঢ়ভাবে বেড়ে চলেছে এবং ২০১১ সালে প্রায় ৭৫ শতাংশে পৌঁছেছে।
তবে মেঘালয়ের কিছু সংখ্যক উপজাতি এখনও ধর্মান্তরকে প্রতিরোধ করছে বলে তিনি দাবী করেন। আসামে খ্রিস্টানদের সংখ্যা ৮৫ গুণ বেড়েছে জানান তিনি।
২০১১ সালের আদমশুমারির তথ্য অনুসারে, নাগাল্যান্ডের মোট জনসংখ্যার ৮৭.৯৩ শতাংশ খ্রিস্টান, মিজোরামে ৮৭.১৬ শতাংশ, মেঘালয়ে ৭৪.৫৯ শতাংশ, মণিপুরে ৪১.২৯ শতাংশ, অরুণাচল প্রদেশে ৩০২৬ শতাংশ এবং অরুণাচল প্রদেশে ৩.৭৪ শতাংশ।