গুয়াহাটি, ২৪ মার্চ : লোকসভায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে অযোগ্য ঘোষণার পর আসামের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সমালোচনায় সরব হয়ে ওঠেছে।
এমনকি বিজেপির বিরোধে গণতন্ত্রকে শেষ করারও অভিযোগ করেছে আসামের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।
উল্লেখ্য যে, মানহানি মামলায় সুরাটের একটি কোর্ট রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করার পর সংসদ থেকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।
কংগ্রেস, আসাম জাতীয় পরিষদ এবং আসাম তৃণমূল কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি অভিযোগ করেছে যে রাহুল গান্ধিকে অযোগ্যতা বিরোধী কণ্ঠস্বরকে নীরব করার বিজেপির প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ।
আসাম প্রদেশ কংগ্রেস টুইটে বলেছে, গান্ধী সংসদের ভিতরে এবং বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই জনগণের অধিকার এবং ভারতীয় গণতন্ত্র রক্ষার জন্য ধারাবাহিকভাবে লড়াই করে চলেছেন।
তিনি তা করতে থাকবেন। সত্যের জয় হবে, অবশ্যই হবে এবং হবেই। উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবেও বলেছে এপিসিসিআই।
দলের সভাপতি ভূপেন বরা দাবি করেন, সাজা ও অযোগ্যতা দেশের মানুষের পক্ষে কথা বলার ফলাফল।
আসামের বিধায়ক অখিল গগৈ কংগ্রেস সাংসদকে অযোগ্য ঘোষণা গণতন্ত্রের বিপর্যয় বলে অভিহিত করেছেন।
মানহানি মামলা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার হাতিয়ার হয়ে ওঠে, এটি ‘মোদী শাসনের’ ধ্বংসের সূচনা। ১৯৭৫ থেকে ৭৭ সালের জরুরি যুগের পুনরাবৃত্তি বলেও দাবী করেছেন অখিল গগৈ।
আসাম জাতীয় পরিষদের সভাপতি লুরিনজ্যোতি গগৈ রাহুল গান্ধীকে অযোগ্যতা ঘোষণা বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের হতাশা এবং বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার প্রচেষ্টা বলেছেন।
আসাম তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা দিলীপ কুমার শর্মা, প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপের সমালোচনা করে বলেছেন, ভারতের গণতন্ত্রের সাফল্য নির্বাহী আইনসভা এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতার উপর নির্ভর করে।
কিন্তু যখন সবকিছু নির্বাহী বিভাগের নির্দেশে চলে, তখন গণতন্ত্রের ধ্বংস শুরু হয় লোকসভা সচিবালয় আজ এমনই একটি কাজ করেছে।
লোকসভা, যা গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে কাজ করে আজ একভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে বলে তিনি উদ্বেগক প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য যে, রাহুল গান্ধীকে অযোগ্য ঘোষণা যতক্ষণ না উচ্চ আদালত দোষী সাব্যস্ত এবং সাজা স্থগিত করবে তাকে আট বছরের জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধা দেবে।
তবে, কংগ্রেস রাহুল গান্ধির অযোগ্যতা ঘোষণার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।