মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবী
ধর্মনগর প্রতিবেদক, ৩০ মার্চ : প্রয়োজনীয় কাজে দূরদূরান্ত থেকে কাগজপত্র নিয়ে মহকুমা অফিসে যাওয়া সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মচারীদের গাফিলতি এবং দালালদের চক্রান্তের শিকার হয়ে সর্বশান্ত হয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।
মহকুমা অফিসের রেজিস্টারি দপ্তর বিআরটিসি, ওবিসি, এসসি দপ্তর এবং আধার দপ্তরের প্রবেশ দরজায় বসে থাকে দালাল গোষ্ঠী।
মহকুমা অফিসের কর্মরত কর্মচারীরা এইসব দালালদের ভালোভাবেই চিনে, কিন্তু কোন অদৃশ্য কারণে তাদের প্রশ্রয় দিয়ে চলছে।
সাধারণ মানুষ কাগজপত্র নিয়ে আসলে ওদের কাগজপত্র প্রায় বলপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায় এই দালাল গোষ্ঠী।
যদিও এই দালালদের কিছু সংখ্যকের নাম বহুবার পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছিল, এমনকি পুলিশ হেফাজতেও গিয়েছিল কিন্তু বর্তমানে এরা স্বমহিমায় অফিস চত্বরে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
তাপস দেবনাথ নামের এরকমই এক ব্যক্তি মহকুমা অফিসে কুনাল বাবুর সাথে এক চেয়ারে বসে নিজস্ব কাজগুলি করিয়ে নেন বলেও জানা গেছে।
এভাবে অফিসের বাবুদের ছত্রছায়ায় থাকলে তাদের ভয় কোথায়?
রাজ্যের বিজেপি সরকার বারবার দুর্নীতিমুক্ত পরিষেবা প্রদানের কথা বলে আসছে, কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এটাই কি তাহলে রাজ্য সরকারের দুর্নীতিমুক্ত পরিষেবা?
দীর্ঘ ২৫ বছরের বাম সরকারের পতন ঘটিয়ে সাধারণ মানুষ ২০১৮ সালে দুর্নীতিমুক্ত সরকার গঠনের প্রতিশ্রুতিতে প্রথম বারের মতো বিজেপিকে ত্রিপুরার ক্ষমতা সপে দেয়।
প্রথম পাঁচ বছর যেকোনো ভাবে সরকার চালালেও তেমন কোন প্রতিবাদ গড়ে তুলা হয়নি, এমনকি দ্বিতীয় বারের মতো ক্ষয়তায় এনে অতীতের ভুলত্রুটি শুদ্রানোর সুযোগ দিয়েছেন।
কিন্তু সরকার গঠনের এক মাসও হয়নি, ধর্মনগর মহকুমার কর্মচারী-দালালের লোক ঠকানো সাধারণ মানুষকে ভাবিয়ে তুলছে।
সরকার গঠনের শুরুতেই যদি এই অবস্থা হয়, দুরদুরান্ত থেকে আসা মানুষকে দিনের পর দিন মহকুমা অফিসে সকাল থেকে সন্ধ্যা টালবাহানায় বসিয়ে রাখা হয় এবং দালাল মাধ্যমে কাজ করাতে তাহলে তাদের পরিবার চলবে কি করে?
ধর্মনগর রেভিনিউ সেকশনেরও এই একই অবস্থা। এখানেও দালালদের একটি চক্র কাজ করছে।
ফুড সেকশনের সামনেও সকাল থেকে দালাল চক্রের বাজার বসে যায়, কিন্তু নেই কোন প্রশাসনিক উদ্যোগ।
ভোটের আগে মানুষকে সহজ উপায়ে সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দিতে ঘর ঘর সুশাসনের নামে গ্রামে গ্রামে সুশাসন ক্যাম্পেন করা হয়েছিল, কিন্তু এটাই কি সেই সুশাসন? এমন প্রশ্ন ওঠতে শুরু করেছে।
সাধারণ মানুষ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের কাছে জানতে চাইছে এটাই কি গ্রামে গ্রামে ক্যাম্পেইন করে দেওয়া সুশাসনের নমুনা?
না এসব দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মচারীদের জেলেপুরে বুঝিয়ে দেওয়া হবে ভোটের ময়দানে জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি এই প্রতিশ্রুতি নয়? কারণ ধর্মনগরের আপামর জনগণ চাইছেন দালাল রাজ এবং দুর্নীতিমুক্ত মহকুমা প্রশাসন। এব্যাপারে তারা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও কামনা করছেন।