শ্যামল আচার্য, রামকৃষ্ণনগর, ৭ এপ্রিল : রামকৃষ্ণনগর উন্নয়ন খণ্ডের গোবিন্দগঞ্জ জিপির ছয় নম্বর ওয়ার্ডে এম আই বাঁধ নির্মানে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন এলাকাবাসী।
২০২১-২২ অর্থ বছরে ওই জিপির কালাছড়া সেতু থেকে গজারডিঙি এল পি স্কুল পর্যন্ত বাঁধ নির্মানে দুই লক্ষ সাতাত্তর হাজার টাকা বরাদ্দ হয়।
কিন্তু অল্প কাজ করার পর বন্ধ হয়ে যায়। বরাদ্দ অর্থ অনুসারে কাজ হয়নি।
এদিকে গ্রামের অজিত দত্ত, নিধূ দত্ত সহ অনেকেই অভিযোগ করেন, তাঁদের চলাচলের রাস্তা নেই।
পঞ্চায়েতের দৌলতে এমজিএনরেগা স্কীমে এম আই বাঁধ বরাদ্দ হলে সবাই খুশী হোন, কিন্তু জমির মাটি দিয়ে বাঁধ নির্মানের কাজ শুরু হয়ে বন্ধ হয়ে পড়ে।
তাঁরা জানান, কাজ তদারকিতে ছিলেন ওয়ার্ড সদস্য নির্মল রায়, কিন্তু কাজের অগ্রগতি না হওয়ায় তাঁদের মনে নানান প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে।
এছাড়া তাঁরা বলেন, বাঁধে খেতের মাটি দেওয়ায় ক’দিনের বৃষ্টিতে পিচ্ছিল হয়ে মরনফাঁদে পরিনত হয়েছে।
গ্রামের শিশু এবং প্রসূতিরা সড়কের কারনে বছরের পর বছর ধরে কষ্টভোগ করছেন। এবার পঞ্চায়েতের টাকা যদিও বরাদ্দ হয়েছে, কিন্তু সামান্য কাজ হয়ে বন্ধ হয়ে যায়।

বিষয়টি তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী ড০ হিমন্তবিশ্ব শর্মা এবং দক্ষিন করিমগঞ্জের বিধায়ক সিদ্দেক আহমেদের নজরে এনে এর সুরাহা চাইছেন।
তাঁরা সাংবাদিকদের আরও জানান, রামকৃষ্ণনগরের বিডিও’র কাছে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য লিখিত অভিযোগও করেছেন।
গোবিন্দগঞ্জ জিপির এপি সদস্য শঙ্করজ্যোতি দাশের কাছে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনিই এই স্কীম দিয়েছিলেন।
জানান, এখন পর্যন্ত পৌনে তিন লক্ষ টাকার এই স্কীমে অর্থ উঠেছে মাত্র বাইশ হাজার টাকা এবং কাজ হয়েছে পঞ্চাশ হাজার টাকার।
শঙ্করজ্যোতি দাশ জানান, কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্লকের ইঞ্জিনিয়ার অভিষেক দেব যত টাকার কাজ হয়েছে সেই টাকাও রিলিজ করেননি।
বাকি টাকা পর্যায়ক্রমে রিলিজ হলে সেইমতো কাজ হবে।
এছাড়া শঙ্করজ্যোতি বলেন, গ্রামের মানুষের এনিয়ে সন্দেহ করা কোন অযৌক্তিক নয়, কারন ফলকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কাজ হয়নি।
গ্রামের মানুষ তাঁকেও এনিয়ে প্রশ্ন করেছেন এছাড়া বিডিওকেও অভিযোগ জানিয়েছেন।
বিডিও মানুষের অভিযোগ পেয়ে বিভাগীয় দায়িত্ববানদের এবিষয়ে তলবও করেছেন।
গোবিন্দগঞ্জ জিপির ছয় নম্বর ওয়ার্ডে কাজের অগ্রগতি না হওয়ার পেছনে জিপি সভানেত্রী নন্দিতা ধরের উদাসীনতাকে দায়ী করা হয়। ব্লক ইঞ্জিনিয়ার অভিষেক দেব জানিয়েছেন, এম আর ছাড়তে পারছেন। তিনি জানান, এই কাজের বিপরীতে মাত্র বাইশ হাজার টাকা রিলিজ হয়েছে।