শ্যামল আচার্য, রামকৃষ্ণনগর, ৮ এপ্রিল : বরাক উপত্যকায় রামকৃষ্ণনগর একটি পরিচিত নাম, রাজ্যেও শিক্ষিত সচেতন এলাকা হিসাবে সুনাম রয়েছে।
কারণ রামকৃষ্ণনগর এলাকার অসংখ্য ছেলে-মেয়ে শুধু দেশ নয়, ইউরোপ এবং আমেরিকায়ও চিকিৎসক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত।
কিন্তু বাতির নীচ যেভাবে অন্ধকার থাকে ঠিক সেই অবস্থা এলাকাটির। বৃহত্তর এলাকার মধ্যে একমাত্র সরকারী চিকিৎসাকেন্দ্র রামকৃষ্ণনগর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র।
কিন্তু গত তিন দিন থেকে চলা রাজ্যের স্বাস্থ্য সেবা উৎসবে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির রুগ্ন চিত্র ফুটে উঠেছে ।
একমাত্র এমবিবিএস ডাক্তার দিয়ে বিশাল এই এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবা চলছে।
সরকার থেকে রামকৃষ্ণনগর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ইভাল্যুয়েশনের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের এ্যসিসটেন্ট প্রফেসর ডাঃ ত্রিদিব ভরালীকে।
ডাঃ ত্রিদিব ভরালী ইভাল্যুয়েশন চালিয়ে যে তথ্য সংগ্রহ করেছেন তা মোটেও সুখকর নয়। ভরালী জানান, ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কোন স্পেশালিষ্ট ডাক্তার নেই।
হাসপাতালটি ঠিকমতো চালাতে হলে প্রয়োজন ছয় জন ডাক্তারের, কিন্তু এর বিপরীতে রয়েছেন মাত্র একজন চিকিৎসক।
এছাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পরিকাঠামোগতও সমস্যা রয়েছে। নিয়মিত সাফাই কর্মী নেই, জলেরও সমস্যা রয়েছে। রয়েছে আরও নানান সমস্যা।
ছয়শত তিয়াত্তরটি বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে তা এক-এক করে পূর্ন করতে সব তথ্য সংগ্রহ করছেন বলে জানান ডাঃ ভরালী।
ডাঃ ভরালীর তাৎপর্যপূর্ন মন্তব্য হলো, এই বৃহৎ এলাকাটি রাজ্যের অন্যতম এ্যডুকেশন্যাল হাব হিসাবে পরিচিত যেমনটা পাঠশালা জায়গাটি পরিচিত।
কিন্তু এলাকাটির একমাত্র চিকিৎসাকেন্দ্রে একজন চিকিৎসক থাকা মোটেও ঠিক নয় এমনটাই বলেন তিনি।
ডাঃ ভরালীর বলেন, সরকার স্বাস্থ্য সেবা উৎসব এসব কারনেই অনুষ্ঠিত করছে, যা ভালো পদক্ষেপ এবং ইভাল্যুয়েশনে তা তুলে ধরবেন বলে জানান।
গণ আওয়াজ-এর সাথে ডাঃ ভরালী রামকৃষ্ণনগর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বেহাল অবস্হার কথা যখন তুলে ধরছিলেন তখন তাঁর পাশে ছিলেন রামকৃষ্ণনগরের সার্কল অফিসার সতীশ প্রসাদ গুপ্তা এবং ব্লক প্রোগ্রাম ম্যানেজার ফখরুল আলম মজুমদার।
সার্কল অফিসার সতীশ প্রসাদ গুপ্তা আশা প্রকাশ করে জানান, স্বাস্থ্য সেবা উৎসব নিঃসন্দেহে সরকারের ভালো উদ্যোগ। এতে উঠে আসবে নানান তথ্য আর সেইমতো সরকার যা করনীয় তা করতে পারবে।