বেঙ্গালুরু, ১৮ এপ্রিল : উমেশ পাল হত্যা মামলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা গুড্ডু মুসলিম এবং আতিক আহমেদের শেষ অবস্থান পাওয়া গেছে কর্ণাটকে।
ক্রমাগত বোমা হামলাকারী ব্যক্তি ছিলেন গুড্ডু মুসলিম।
উমেশ পাল হত্যা মামলার পর গুড্ডু মুসলিম ও আসাদ একসঙ্গে পলাতক হয়েছিলো। কিন্তু এরপর আসাদ ও গুড্ডু আলাদা হয়ে মুসলমান হয়ে যায়।
আতিকের ছেলে আসাদ এবং শুটার গোলাম ঝাঁসিতে একটি এনকাউন্টারে এসটিএফের হাতে নিহত হয়।
একদিকে হাসপাতালের বাইরে আতিক আহমেদ ও আশরাফ খুনের পর যোগী সরকারকে লাগাতার নিশানা করছে বিরোধীরা।
একই সঙ্গে প্রয়াগরাজে আতিক-আশরাফ খুনের পর মুখ্যমন্ত্রী যোগীর নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে।
তবে উমেশ পাল হত্যা মামলার পর থেকে পলাতক আতিকের দোসর গুড্ডু মুসলিম বারবার অবস্থান পরিবর্তন করছে।
এ কারণেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এখন পর্যন্ত গুড্ডুকে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। কর্ণাটকে অবস্থান পাওয়ার আগে গুড্ডু সম্পর্কে গুজব ছিল যে তাকে নাসিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর কিছুক্ষণ পরেই নাসিক পুলিশ স্পষ্ট করে দেয় যে হোটেল থেকে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তি গুড্ডু মুসলিম নয়, অন্য কেউ।
গুড্ডু উমেশপালকে হত্যায় প্রচণ্ড বোমা হামলা করেছিল।
উমেশ পাল গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর সুস্থ হলে চলন্ত বাইক থেকে রাস্তায় বোমা ছুড়ে মারার কথা ছিল।
গণহত্যার সব জায়গায় গুড্ডুর বড় ভূমিকা পালন করেছে। গুড্ডু শ্রীপ্রকাশ শুক্লাকে গুরু বলে মনে করে, কারণ তার কাছ থেকে বাইকে বোমা বেঁধে তা ছুড়ে মারার কৌশল আয়ত্ত করেছে।
আতিকের অবর্তমানে গুড্ডু তার পুরো নেটওয়ার্ক চালাত।