অনিমেষ চক্রবর্তী, বড়খোলা, ২১ এপ্রিল : রাজ্যে ঘটা করে চলছে নেশামুক্তি অভিযান, সরকার রাজ্যকে নেশামুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে। এমনকি, সরকারী উদ্যোগে নেশামুক্তি দিবসও পালন করা হয়।
কিন্ত বড়খলার বাস্তবিক চিত্র পুরোটাই উল্টো। এখানে পুলিশের নাকের ডগায় গজিয়ে উঠেছে নতূন নতূন অবৈদ মাদকের দোকান।
সেই সাথে বড়খলার আনাচে কানাচে বাড়ছে মাতালদের দৌরাত্ম্যও। নেশার কবলে হাবুডুবু খেয়ে যুবকরা অকালে নিজের মৃত্যুকে বরণ করে নিচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে আবগারী বিভাগ ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন সচেতন মহল।
দুশ্চিন্তায় দিশেহারা এসমস্ত পরিবার লোকজন এবং তাদের স্ত্রী সন্তানরা।
বড়খলার কয়েকটি জায়গা, যেমন- বড়খলা বাসষ্ট্যাণ্ড, ব্লক, জিপি অফিস, কাশিপুর শ্মশানঘাট, ডলু, জারইলতলা, পুরন্দরপুর সহ আরোও অনেক জায়গা পুরোটাই রাতের অন্ধকার নেমে আসার সাথে সাথে মাতালদের কবলে চলে যায়।
বড়খলা পুলিশের নাকের ডগায় গজিয়ে ওঠা এসব অবৈধ নেশার ডেরা এলাকার যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
আবগারী বিভাগ ও পুলিশ প্রশাসনকে আয়ত্বে নিয়ে বড়খলা এলাকার একাংশ চা-পানের দোকান, ষ্ট্রেশনারী দোকানিও দীর্ঘদিন ধরে মুখোশের আড়ালে মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসছে।
এ সব কিছুই হচ্ছে আবগারী বিভাগ ও স্থানীয় পুলিশকে ম্যানেজ করে।
কিন্তু এলাকার যুব সমাজকে এভাবে ঝরে যেতে দেখে সচেতন মহল আর চুপ করে বসে থাকতে রাজী নয়।
দাবি উঠছে ঊর্ধ্বতন করতিপক্ষ শীঘ্রই এব্যাপারে ব্যবস্থা নিক, জড়িত পুলিশ কর্মী এবং আবগারি কর্মীদের চাকরি থেকে নিলম্বিত করা হোক।
বুঝিয়ে দেওয়া হোক মাসে মাইনে দেওয়া হচ্ছে জনহিতার্থে কজকরার জন্য, ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিতে নয়। অন্যতায় জনগণই এলাকার যুব সমাজকে রক্ষা করতে আইন হাতে নিয়ে এসব দুর্নীতিগ্রস্তদের সায়েস্তা করারও কানাঘুষা চলছে এলাকায়।