হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সোচ্চার প্রতিবাদ, কঠোর সাস্তির দাবি
রূপা দাস চৌধুরী, বারইগ্রাম, ২৩ এপ্রিল : সরকারের রক্তচক্ষুকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ঈদ-উল-ফিতরের আগের রাতে পাথারকান্দির চেরাগীতে প্রকাশ্যে গো হত্যা করে মাংস বিক্রির প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠেছে হিন্দু জাগরণ মঞ্চে।
এই ঘটনায় পুলিশ এক অভিজুক্তকে আটক করেছে। ধৃত ব্যাক্তির নাম মজির উদ্দিন, বাড়ি স্থানীয় চেরাগীতে।
প্রাপ্ত খবরে জানাগেছে, অভিযুক্ত মজির উদ্দিন শুক্রবার বিকেল আরও কয়জনকে সঙ্গে নিয়ে নিজ বাড়িতে একটি গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করছিল।
এই খবর পৌছায় পাথারকান্দি প্রখন্ড হিন্দু জাগরণ মঞ্চের কর্মকর্তাদের কাছে।
বিষয়টি তারা জেলা পুলিশ সুপারের নজরে আনলে পাথারকান্দির বারইগ্রাম পুলিশ তদন্তে নেমে রাতেই বাড়ির মালিক মজিরকে পাকড়াও করতে সক্ষম হলেও বাকিরা পালিয়ে যায়।
বর্তমানে আটক মজিরকে পাথারকান্দি থানা লকআপে রেখে পুলিশ টানা জিঙ্গাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে।
শনিবার হিন্দু জাগরণ মঞ্চের কর্মকর্তারা স্থানীয় পুলিশে লিখিত অভিযোগে জড়িত অন্যান্যদেরকে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
পরে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে জানান, সরকারি নির্দেশ মোতাবেক মন্দির বা দেবালয় থাকা পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে গো হত্যা নিষিদ্ধ রয়েছে।
কিন্তু ঘটনাস্থল থেকে মাত্র দেড় কিলো মিটার দুরত্বে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী শ্রীশ্রী রাধারমণ গোস্বামীর আশ্রম সহ কানাইলাল জিউর আশ্রম।
সমাজদ্রোহিরা এসব নিয়ম নীতিকে তুয়াক্কা না করে গোটা এলাকার সুষ্ঠ পরিবেশ বিনষ্ঠ করতে এমন কান্ড ঘটিয়েছে।
এদেরকে সমাজের শত্রু হিসাবে তুলেধরেন হিন্দু জাগরণ মঞ্চের কর্মকর্তারা। এব্যাপারে পাথারকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত অসি সমরজিৎ বসুমাতারির কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান পুলিশ তদন্তে নেমে স্পর্শকাতর বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।