অনিমেষ চক্রবর্ত্তী, বরখলা, ২৬ এপ্রিল : এবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর নিয়ে বড়খলা বড়রামপুর জিপির ব্যাপক দুর্নীতি প্রকাশ্যে এল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রতিটি গরীব মানুষের কাচা বসত ঘর পাকা করে দেওয়া হবে এবং এরজন্য সরকার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের মাধ্যমে গরীব মানুষের কাচা বসত ঘর পাকা করে দিতে কাড়ি কাড়ি অর্থ মনজুরও করছে।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আদত এই অর্থ কি গরীব মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে? সত্যিকারের কি গরীব মানুষের কাচা ঘর পাকা হচ্ছে, না মধ্যভোগিদের পকেটে যাচ্ছে? তার খবর রাখার কি সরকারের কোন ব্যবস্তা আছে?
একঝলকে দেখে নেওয়া যাক আসামের কাছাড় জেলার বড়খলা বিধানসভা সমষ্টির বড়রামপুর জিপির সালগঙ্গাপারের মানুষের হাল-হকিকৎ …..
বড়রামপুর জিপির সালগঙ্গাপার গ্রামের গৃহহীন গরীব মানুষের কারো ভাগ্যে আজ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার কোন ঘর জোটেনি বলে গণ আওয়াজ-এর প্রতিবেদককে জানিয়েছেন জনগণ।
তারা জানান, বিগত বছর গ্রুপ সদস্য ঊষা দাস এবং এপি সদস্য সবিতা রানী দাস ঘর বরাদ্দ হয়েছে জিও টেক করার জন্য ঘর প্রতি এক হাজার টাকা থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত উৎকোচ আদায় করেছেন।
কিন্তু আজ পর্যন্ত তাদেরকে কোন ঘর বরাদ্দ করা হয়নি। বর্ষার এই মরশুমে এসব গরীব গৃহহীন মানুষের শান্তিতে মাথা রাখার জায়গাটুকুও নেই।
এখানে উল্লেখযোগ্য যে আঞ্চলিক পঞ্চায়েত প্রতিনিধি সবিতা রানী দাস রাজ্য এবং কেন্দ্রের শাসক বিজেপি দলের এবং গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই হিন্দু ধর্মালম্বি।
বিজেপির এজেন্ডায় দুর্নীতিমুক্ত রামরাজ্য গড়ার কথা উল্লেখ রয়েছে, এদিক থেকেও এই গ্রামের গরীব গৃহহীন মানুষের কাচা ঘর পাকা করে নির্মাণ করে দেওয়ার কথা।
কিন্তু চারিদিকে দুর্নীতি যেন কালবৈশাখী ঝড়ের মতো আছড়ে পড়েছে, কংগ্রেসের দুর্নীতিকে হারমানিয়ে রামরাজ্যের বদলে রাবনরাজের দিকে এগুচ্ছে।
গ্রামের ভুক্তভোগী মানুষ গণ আওয়াজকে তাদের দুঃখ দুর্দশার কথা বলতে গিয়ে জানান, গত বন্যায় পূরো গ্রাম জলে হাবু ডুবু খেলেও এই দুঃখের সময় কোন জনপ্রতিনিধিকে পাশে পাননি।
তাই এবার তাদের শেষ বরশা হিসাবে সালগঙ্গাপারের বাসিন্দাদের পক্ষে অনন্ত দাস, সুমিত্রা দাস, কাজল দাস, দিপক দাস, শংকর দাস, লক্ষী দাস, লক্ষী রানী দাস, প্রতিমা দাস, গৌরচান্দ দাস বীরেন্দ্র দাসরা মুখ্যমন্ত্রী এবং কাছাড় জেলা শাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।