শ্যামল আচার্য, রামকৃষ্ণনগর : প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের স্থায়ী পদ সৃষ্টি না করে শিক্ষা সেতু পোর্টাল চালু করেছিল রাজ্যের শিক্ষা বিভাগ।
কয়েকদিন পূর্বে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে পোর্টালটি পুরোপুরি বয়কট করেছিলেন রাজ্যের শিক্ষকরা।
আজও একই দিনে গোটা রাজ্যের শিক্ষক শিক্ষিকারা সরকারের দেওয়া শিক্ষা সেতু পোর্টাল ট্যাবলেট ফেরত দিয়েছেন।
করিমগঞ্জ জেলার রামকৃষ্ণনগর শিক্ষা খণ্ডেরও প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা তাদের এই দাবি না মানা অবদি শিক্ষা সেতু পোর্টাল বয়কট করে ট্যাবলেটটি ফেরত দিয়েছেন।
প্রধান শিক্ষকের পদ স্থায়ীকরণ করা না হলে সরকারের প্রদান করা ট্যাবলেট কোনো ভাবেই তারা ব্যবহার করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা।
উল্লেখ্য যে, রামকৃষ্ণনগর শিক্ষা খন্ডের অন্তর্গত বিদ্যালয়গুলোর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকাদের হাতে কিছুদিন পূর্বেই তুলে দেওয়া হয়েছিল এই ট্যাবলেটগুলো।
তবে তাদের ইউনিয়নের সিদ্ধান্তে গোটা রাজ্যের সাথে রামকৃষ্ণ নগরেও শিক্ষা সেতু পোর্টাল চালু করতে সরকারের দেওয়া টেবলেট গুলো ফিরিয়ে দিলেন শিক্ষক শিক্ষিকারা।

সোমবার পুরোদিন ট্যাবলেট ফেরত দিতে রামকৃষ্ণনগর শিক্ষা খন্ডের কার্যালয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকাদের ভিড় ছিল অনেক।
এদিন সারিবদ্ধভাবে লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে টেবলেটগুলো ফিরিয়ে দিয়েছেন শিক্ষা খণ্ডের আধিকারিকের হাতে।
তাঁরা বলেন যে প্রধান শিক্ষকের পদ স্থায়ীকরণ না করে সরকার শিক্ষা সেতু পোর্টাল চালু করতে চাইছে কিন্তু তাদের দাবি প্রধান শিক্ষকের পদ স্থায়ীকরণ করে তারপরই সেই টেবলেট প্রদান করা হোক।
তারা প্রশ্ন তুলেন, কেন সরকার এই দাবিগুলো মেনে নিচ্ছে না? সেটা তাঁদের কাছে এক বিরাট রহস্যের বিষয়।
শিক্ষকরা হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, রাজ্য সরকার যদি তড়িঘড়ি করে দাবিগুলো মেনে না নেয় তাহলে আগামী দিনে তাঁরা গণতান্ত্রিকভাবে বৃহত্তর আন্দোলনে ঝাঁপাতে বাধ্য হবেন।
ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদানে ক্ষেত্রে কখনো কোন খামখেয়ালি যাহাতে না হয় সেই দিকেও শিক্ষকরা গুরুত্ব দিয়ে নিষ্ঠার সাথে তাঁরা পাঠদান করে আসছেন।
তবে সরকার কেন শিক্ষকদের এই দাবীগুলো পূরণ করতে ব্যার্থ? যথা শীগ্রই এই বিষয়ে বিহিত ব্যাবস্থা নিতে সরকারের নিকট জোড়ালো দাবি জানান তাঁরা।