শিলচর, পিএনসি : ভারত সরকারের এক গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন, কিন্তু এই বিভাগের এক নির্লজ্জ তথ্য সংবাদ মাধ্যমের হাতে তুলে দিয়েছেন গ্যাস সিলিন্ডারের গ্রাহকরা।
উল্লেখ্য যে ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন দূর্ঘটনা প্রতিরোধে পাঁচ বছর পর পর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত টেকনিশিয়ান কর্তৃক গ্রাহকদের ঘরে ঘরে গিয়ে গ্যাস পাইপ, রেগুলেটরের সরাসরি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে পরামর্শ প্রদানের নির্দ্ধারিত চেকিং ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশনের প্রশিক্ষিত টেকনিশিয়ান রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার গ্রাহকের ঘরে গিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালান।
বিনিময়ে সাধারণ গ্রাহকদের কাছ থেকে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাশুল ২০০ টাকা এবং সাধারণ কর ১৮% হিসেবে ৩৬ টাকা মোট ২৩৬ টাকা প্রাপ্তি রসিদ দিয়ে আদায় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী উজ্জলা গ্যাস সিলিন্ডারের গ্রাহকদের জন্য জিএসটি সহ পরীক্ষা নিরীক্ষার মাশুল ৫৯ টাকা ধার্য করা হয়েছে।
যাদের ৫ বছর সম্পূর্ণ হয়ে গেছে সেই সব গ্রাহকদের এই চেকিং জরুরি বলে কর্তৃপক্ষ মনে করে এই কার্যসূচি হাতে নিয়েছে।
এছাড়া দূর্ঘটনা বীমার কিস্তি ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন ও বিতরক গন প্রদান করেন, এখানে গ্রাহকদের কাছ থেকে কোনো বীমার কিস্তি আদায় করা হয় না।
কিন্তু সম্প্রতি কাছাড় জেলার কৃষ্ণা ইনডেন গ্রামীণ বিতরক সহযোগে নির্দ্ধারিত চেকিং শুরু হয়েছে।
প্রতিজন গ্রাহকের বাড়িতে গিয়ে কোনো ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা না করেই সাধারণ গ্রাহক ও প্রধানমন্ত্রী উজ্জলা গ্যাস সিলিন্ডারের গ্রাহকদের কাছ থেকে রসিদ ছাড়া ইন্সুরেন্সের নামে গড়ে ২০০ টাকা করে সংগ্রহ করা হচ্ছে।
কেবল একটি নির্দ্ধারিত চেকিং-এর ফর্ম গ্রাহকদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।
এই অভিযোগ করেছেন পান্না দাস, সুজয় দাস, বিক্রম দে ও অভি দত্তরা। তাঁরা বলেন যে সাধারণ মানুষ বিতরক সংস্থার কর্মচারী ও তথাকথিত টেকনিশিয়ান সরজমিনে এসেছেন দেখে বিশ্বাস করে ২০০ টাকা ইন্সুরেন্সের জন্য সরল মনে তুলে দিচ্ছেন।
কিন্তু এসব যে প্রতারনা গ্রাহকরা ক্রমশ বুঝতে পারছেন এবং সংবাদ মাধ্যমের শরণাপন্ন হয়ে এসব যে এক ভয়ঙ্কর প্রতারণা তা নিশ্চিত হয়েছেন।
তারা এই বিষয়ে ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশনের শিলচর বিভাগীয় আধিকারিক এবং কাছাড় জেলার খাদ্য ও অসামরিক বিভাগের কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।
সুত্রে জানা গেছে এই প্রতারনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই সোনাপুর, ভাঙ্গার পার, বিহাড়া সহ এই বিতরক সংস্থার গ্রাহকরা ক্ষোভে ফুঁসছেন। অবিলম্বে এই ২০০ টাকা ফেরত না দিলে আইনের দরজায় কড়া নাড়ার হুমকি প্রদান করেছেন স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা।