মোস্তাফা এ মজুমদার, হাইলাকান্দি : ভারত সরকারের দীন দয়াল উপাধ্যায় গ্রামজ্যোতি যোজনার অধীনে বৈদ্যুতিকরণ নিউ, অর্থাৎ ডিডিইউ জি, জেওয়াই নিউ গরিব জনগণের বিদ্যুৎ পরিসেবা প্রদানে বদ্ধ পরিকর।
আর এ পরিসেবা বাস্তবায়ন করতে এপিডিসিএলের অন্তর্গত উইন পাওয়ার কোম্পানি বরাকের তিন জেলা কাছাড়, করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দির গ্রামীন এলাকায় প্রায় চার বছর থেকে বৈদ্যুতিকরণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
বিভাগীয় নিয়ম অনুযায়ী কাজের বরাত দিয়ে ঠিকাদারদের মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করতে হয়। এপিডিসিএল এসব কাজের বরাতপ্রাপ্ত ঠিকাদারের অর্থ প্রদান করতে উইন পাওয়ার কোম্পানিকে প্রদান করে।
বরাক উপত্যকার তিন জেলার বরাতপ্রাপ্ত ঠিকাদারদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও সহযোগিতায় বৈদ্যুতিকরণের কাজ এগিয়েছে এবং গ্রামীণ এলাকার গ্রাহকরা এ পরিসেবা উপভোগ করতে সক্ষম হচ্ছেন।
কিন্তু সম্প্রতি উইন পাওয়ার কোম্পানির কর্মকর্তরা বরাতপ্রাপ্ত ঠিকাদারদের অর্থ আত্মসাত করেছেন বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তাপিত অভিযোগ ওঠে।
আজ এই অভিযোগ খণ্ডন করেন এ কোম্পানির হাইলাকান্দির প্রজেক্ট মেনেজার দিলোয়ার হোসেন লস্কর।
তিনি হাইলাকান্দিতে সাংবাদিকদের সামনে হাজির হয়ে বলেন, এখানে ঠিকাদারদের অর্থ আত্মসাত বা একপয়সা হের ফের করার কোন স্থান নেই।
কেননা ঠিকাদারদের বরাতের অর্থ অ্যাকাণ্টের মাধ্যমে প্রদান করা হয়, আর এখন পর্যন্ত এপিডিসিএল বারো শতাংশ অর্থ প্রদান করেছে।
এ অর্থ থেকে একাধিক ঠিকাদার অসুস্থতা দেখিয়ে কুড়ি শতাংশ থেকে আশি শতাংশ পর্যন্ত পেয়েছেন বলে জানান সিনিয়র ম্যানেজার পি শর্মা।
এপিডিসিল অর্থ প্রদান করার একসপ্তাহের মধ্যে উইন পাওয়ার কোম্পানি পেমেন্ট প্রদান করতে বদ্ধ পরিকর বলে দৃঢতার সঙ্গে জানান দিলোয়ার। তিনি বলেন একাংশ ব্যাক্তি সামাজিক মাধ্যমে যে অভিযোগ উত্থাপন করেছে তা সম্পূর্ণ ডাহা মিথ্যা।
প্রদত্ত প্রকল্পের নিয়ম নীতি পূঙ্খানুপুঙ্খভাবে পালন করা হচ্ছে বরে জানান প্রজেক্ট ম্যানেজার।