শিলচর : আবগারি ও মৎস্যমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যের উপস্থিতিতে রবিবার কাছাড় জেলার রুকনি চতুর্থ খণ্ডে এক অনুষ্ঠানে জেলা কর্তৃপক্ষ শূন্য বাল্যবিবাহ গ্রাম হিসাবে ঘোষণা করেছে।
গ্রামটি ধলাই বিধানসভা কেন্দ্রের রুকনি চতুর্থ খণ্ডের দরমিখাল হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী শুক্লবৈদ্য, কাছাড়ের জেলা প্রশাসক রোহন কুমার ঝা, পুলিশ সুপার নোমাল মাহাতো এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, সমাজকল্যাণ মনসুর আহমেদ মজুমদারের উপস্থিতিতে গ্রামটি উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য কাছাড় জেলা প্রশাসন ও সমাজকল্যাণ বিভাগের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন যে রুকনিতে বাল্যবিবাহের কোনো মামলা নেই। রাজ্য জুড়ে বাল্যবিবাহের হুমকি রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার প্রশংসাও করেন।
অনুষ্ঠানে কাছাড়ের জেলা প্রশাসক রোহন কুমার ঝা ঘোষণা করেন যে রুকনি গ্রাম বাল্যবিবাহের ঘটনা শূন্য অর্জনের জন্য সরকারের কাছ থেকে আর্থিক পুরস্কার পাবে।
তিনি বলেন পুরস্কার প্রদানের সময় পর্যন্ত এই গ্রামে বাল্যবিবাহের ঘটনা পাওয়া গেলে আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হবে না।
তিনি বাল্যবিবাহ শূন্য গ্রাম খুঁজে বের করার প্রচেষ্টার জন্য সমাজকল্যাণ বিভাগের প্রশংসা করেন।
কাছাড়ের পুলিশ সুপার নোমাল মাহাতো বলেন জেলায় বাল্যবিয়ের ৩৩টি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং ২০২৩ সালে এ পর্যন্ত ৮৮ জনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি সমাজ থেকে বাল্যবিবাহের হুমকি নির্মূলে গণসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং উন্নত সমাজ গঠনে পুলিশ ও সাধারণ জনগণের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার ওপর জোর দেন।
এর আগে, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শূন্য বাল্যবিবাহ গ্রাম চিহ্নিত করার জন্য ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক এবং চাইল্ডলাইন পরিষেবা সহ সমাজ কল্যাণ দফতরের প্রশংসা করেন।
বাল্যবিবাহ নির্মূলের জন্য তিনি সাধারণ মানুষের কাছে তাদের সাহায্য ও সহযোগিতার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার ও জেলা সমাজকল্যাণ ইনচার্জ ত্রিনয়ন দাস।
রুকনি ছাড়াও কাছাড়ের আরেকটি গ্রাম ‘বাল্যবিবাহ শূন্য গ্রাম হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, গ্রামটি কাটিগরা বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ভৈরবপুর।