শিলচর : এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বাংলা বিষয়ে রাজ্যসেরা নম্বর পেয়েছে উধারবন্দ পানগ্রামের মেয়ে স্নেহা দাশগুপ্ত।
এই সাফল্যের জন্য তাঁর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে সংবর্ধনা জানালেন বরাক ডেমোক্রেটিক ইউথ ফ্রন্টের সদস্যরা।
এদিন যুবফ্রন্টের মূখ্য আহ্বায়ক কল্পার্ণব গুপ্ত বলেন যে বিশ্বের প্রায় ত্রিশ কোটি লোক বাংলা ভাষায় কথা বলেন।
জনসংখ্যার অনুপাতে বাংলাভাষীর সংখ্যা পৃথিবীতে ষষ্ঠ এবং ভারতে দ্বিতীয়।
তিনি বলেন অগুন্তি মেধাবী প্রাবন্ধিক,গল্পকার, ঔপন্যাসিক, কবি এই ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছেন এবং করে চলেছেন।
বাংলা ভাষার অধিকার রক্ষায় এই উপত্যকার ১১জন আত্মহুতি দিয়েছেন যার বিনিময়ে এই বাংলা বরাক উপত্যকার সরকারি ভাষার স্বীকৃতি পেয়েছে।
তারপরও উগ্র অসমিয়া জাতিয়তাবাদীরা প্রায়সই এই অধিকার লঙ্ঘন করার চেষ্টা করছে, প্রতিবাদ করতে করতে গিয়ে তাদেরকেও সরকারি রোষানলে পড়তে হয়েছে, হেনস্থা হয়েছে বলেন তিনি।
তবে সবকিছুর পরও বাংলা ভাষার অধিকার রক্ষায় তাঁরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ রয়েছেন ও থাকবেন বলে এদিন জানিয়ে কল্পার্ণব বলেন, স্নেহা দাশগুপ্তের এই সাফল্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ এরকম একটি ধারণা প্রচলিত যে বাংলায় ভালো নম্বর পাওয়া যায় না, স্নেহা ১০০ এর মধ্যে বাংলায় ৯৭ পেয়ে প্রমান করে দিয়েছে যে এই মিথ সর্বৈব মিথ্যা।
তিনি বলেন স্নেহার এই সাফল্যে এই রাজ্য তথা বরাকের একজন বাংলাভাষী হিসেবে তিনি গর্বিত এবং সেজন্যই তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন।
সংবর্ধনার পরিপ্রেক্ষিতে স্নেহা বলে যে বাংলা তাঁর মাতৃভাষা এবং এই ভাষার জন্য সে গর্বিত।
রাজ্যের সমস্ত বাঙালি ছাত্র-ছাত্রীদের বাংলা ভাষা শেখা ও চর্চা করার আহ্বান জানিয়ে বলে যে ইংরেজি মাধ্যমের রমরমার সময়েও নিজের মাতৃভাষা জানা ও পঠনপাঠন করা খুবই জরুরী বলে স্নেহা মনে করে।
তাই সমস্ত বাংলাভাষী অভিভাবক তথা শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানায় স্নেহা।
স্নেহাকে বিডিওয়াইএফ এর পক্ষ থেকে উত্তরীয় ও মানপত্র দিয়ে অভিনন্দন জানানো হয়। এছাড়া উপহার স্বরূপ দুটি বইও তুলে দেওয়া হয় তাঁর হাতে। অন্যান্যদের মধ্যে এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিডিএফ মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায়, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে প্রমুখ।