বড়জাত্রাপুর, প্রতিনিধি : দরিদ্রতা এবং আর্থিক দুর্বলতাকে পেছনে ফেলে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে জীবনের সফলতা যে সম্ভব তা প্রমান করে দিলেন ভৈরবনগর মনিপুরী গ্রামের রোহন কাজী।
আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ শিলচরের গুরুচরণ কলেজের ছাত্র রোহন সদ্য ঘোষিত স্নাতক পরীক্ষায় পার্সি অনার্সে সেরা নম্বর এবং স্বর্ণপ্রদক সহ প্রথম স্থানে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
বাল্যকালে পিতৃহারা ২২ বছরের মেধাবী ছাত্র রোহন কাজী আজ নিজের মুখেই প্রকাশ করলেন তার দরিদ্রতা এবং আর্থিক দুর্বলতার মধ্যে সফলতার সংগ্রামের কথা।
এবারের স্নাতক পরীক্ষায় পার্সি অনার্সে সে ৯৪.৩৩ শতাংশ নম্বর পেয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছেন রোহণ।
আসাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে সেরা নম্বর প্রাপক হিসাবে রেঙ্ক ওয়ান সহ স্বর্ণপদকের তালিকায় তার নাম ঘোষণা করেছেন।
এই সাফল্যে তার নিজ গ্রাম ভৈরবনগর সহ গোটা রানিঘাট এলাকায় খুশির জোয়ার বইছে।
রবিবার কৃষ্ণপুর ভৈরবনগর জিপি কার্যালয়ে হাজী মুজাম্মিল আলি সভাকক্ষে তার এই নজরকাড়া সাফল্যের জন্য এক সংবর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জিপি সভাপতি হিফজুর রহমান বড়ভূঁইয়ার পৌরোহত্যে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন আয়োজক হাফিজ ইব্রাহিম আহমেদ বড়ভূঁইয়া।
আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জয়নগর এসি মেমোরিয়াল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আলহাজ সালেহ আহমদ বড়ভূঁইয়া, আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সদস্যা জহিরুন নেছা চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী বদরুল ইসলাম বড়ভূঁইয়া, সমাজকর্মী এবাদ উল্লাহ চৌধুরী, তৈয়ব আলী চৌধুরী, মাওলানা আবুল হাসান চৌধুরী প্রমুখ।
তারা সবাই তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করে তাকে আরও এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
এদিনের সভায় তাকে উত্তরীয় ফুলাম গামোছা এবং মূল্যবান উপহার সামগ্রী দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়। কৃতি ছাত্র রোহন কাজী প্রশাসনিক সেবায় পদস্থ আধিকারিক হিসেবে এপিএসসি এবং ইউপিএসসি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন।